ক্যাম্পাস

শিক্ষকের প্রমোশনের চেষ্টা: প্রশাসনিক ভবনে তালা চবি শিক্ষার্থীদের

শিক্ষকের প্রমোশনের চেষ্টা: প্রশাসনিক ভবনে তালা চবি শিক্ষার্থীদের

হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত ইসকন অনুসারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীর প্রমোশন দেওয়ার চেষ্টা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণ পর প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোনায়েম শরীফ বলেন, আমরা জানতে পারি আজ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত ফ্যাসিবাদের দোসর কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসানো হচ্ছে। কুশল বরণ জুলাই পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়েছেন। বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন। তার পদোন্নতি বোর্ড বাতিল এবং তার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন হাবিব বলেন, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষক অবৈধ নিয়োগ পেয়েছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ব্যতিক্রম। জুলাই আন্দোলনের পর শহীদ আলিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কুশল বরণকে পদোন্নতি দিতে বোর্ড বসাচ্ছে প্রশাসন। এই কুশল বর্মণ জুলাই পরবর্তী সময়ে দেশবিরোধী চক্রান্তে সরাসরি লিপ্ত ছিলেন। কুশল বরণের পদোন্নতি বোর্ড বাতিল করতে হবে এবং তাকে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

Advertisement

জানা যায়, গতবছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এসময় তিনি কিরিচের কোপে মাথায় গুরুতর জখম হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে তিনি গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। এই মামলার ২০তম আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তী।

গতবছর ২৬ অক্টোবর ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’র আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কুশল বরণ চক্রবর্তী। ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। এছাড়া তাকে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সমর্থক ও র’এর এজেন্ট বলে অভিযোগ করা হয়।

কুশল বরণ চক্রবর্তী বোর্ডের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকে কোর্টের মতো বিচার করতে পারে না। আমরা কারো জেল জরিমানা করতে পারি না। এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই। তবে আমরা যে কমিটিগুলো করেছি সেগুলো ধীরে কাজ করছে।

সোহেল রানা/এফএ/এমএস

Advertisement