আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হবে। আর এই নির্বাচনের আগেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির বদল ঘটলো। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে বিজেপির নতুন সেনাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পর বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি হলেন শমীক ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শমীক ভট্টাচার্যের হাতে।
Advertisement
এদিন কলকাতার সায়েন্স সিটিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের উপস্থিতিতে শমীক ভট্টাচার্যের নাম রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর শমীক ভট্টাচার্য সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন।
আরও পড়ুন>>
ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে মুখ খুললেন মমতা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ধর্ষণ, উত্তপ্ত কলকাতার রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট আমদানি নিষিদ্ধ, খুশি নন ভারতীয় ব্যবসায়ীরাতিনি বলেন, বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা লড়ছি আপনাদের জন্য। আমরা চাই আপনাদের বাড়ির ছেলেদের হাত থেকে পাথর কেড়ে বই দিতে। যারা তলোয়ার নিয়েছে, তাদের হাতে কলম ধরিয়ে দিতে চাই। এটাই বিজেপির লড়াই, এটা করে দেখাবো।
Advertisement
সামনেই বাঙালিদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা, তার পরেই মহরম। সেই প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দুর্গাপূজা আর মহরমের মিছিল একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবে। কোনো বিভাজন নেই। বাংলায় বহুত্ববাদকে বাঁচাতে হবে। সংখ্যালঘুরা নজরুলের কথা শুনবে, উগ্রপন্থির ভাষা শুনবে না।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ার ডাক দিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বাস রাখুন, এই নির্বাচন মানুষের হাতে, কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে নয়। জগন্নাথ দেব চান তৃণমূল হারুক। তৃণমূল হারছে।
এদিন রাজ্য সভাপতি হিসেবে প্রথম ভাষণে ২০২৬-এর নির্বাচনে তৃণমূলকে ‘বিসর্জনের’ ডাক দেন শমীক ভট্টাচার্য।
২০১৪ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হন শমীক ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯ সালে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী সৌগত রায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শমীক ভট্টাচার্য। ২০২১ সালে রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থী ও লোকগীতি শিল্পী অদিতি মুন্সির কাছে হেরে যান তিনি। ২০২৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নির্বা
Advertisement
ডিডি/কেএএ/