৪ জুলাই। আজকের এই দিনে ক্রিকেট বিশ্ব হয়েছে নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী। জন্ম হয়েছে অনেক নামজাদা ক্রিকেটারের। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
Advertisement
১৯৩১ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ইংল্যান্ডের অন্যতম সফল ওপেনার পিটার রিচার্ডসন। তিনি কেবল একজন ক্রিকেটারই ছিলেন না, ছিলেন দারুণ মজার মানুষ। ডেইলি টেলিগ্রাফে ছাপানোর জন্য তিনি ভুয়া ক্রিকেট রেকর্ড পাঠাতেন। নানাভাবে বিভ্রান্ত করতেন সাংবাদিকদের। তিনি কখন কোন কথাটা কেন বলছেন, বোঝা ছিল মুশকিল।
১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৪ টেস্ট খেলেছেন রিচার্ডসন, প্রথম ১৬ টেস্টেই পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন। ১৯৫৭ সালে ভাই ডিক রিচার্ডসনের সঙ্গে একসঙ্গে খেলেন তিনি, এটা ছিল হোলিওক ভাইদের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ দুই ভাইয়ের একসঙ্গে খেলার ঘটনা।
১৯১৮ইংলিশ পেসার স্যার অ্যালেক বেডসারের জন্ম। লাইন-লেন্থ, সিম ও সুইংয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। তার চেয়েও বড় পরিচয় ছিল, তিনি টেস্টে উইকেট পেতেন ঝাঁকে ঝাঁকে। ১৯৪৬ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টেই ২২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ১৯৫১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন টেস্টে ২৩ উইকেট এবং ১৯৫৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার টেস্টে ৩৬ উইকেট শিকার করেন বেডসার। যার মধ্যে ট্রেন্ট ব্রিজে ম্যাচে ১৪/৯৯ ছিল যেকোনো হারে যাওয়া ম্যাচে বোলারের সেরা পরিসংখ্যান। তিনি পরবর্তীতে ২৩ বছর ইংল্যান্ড দলের নির্বাচক ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন। তার মৃত্যু হয় ৯১ বছর বয়সে, তার জমজ ভাই এরিকের মৃত্যুর চার বছর পরে।
Advertisement
১৯৮১বোর্নমাউথে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে স্যাঁতসেঁতে উইকেটে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে নটিংহ্যামশায়ার মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে বিস্ময় ছড়ান ক্লাইভ রাইস। অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা যেখানে সংগ্রাম করছিলেন, সেখানে রাইস যেন জোহানেসবার্গের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খেলছিলেন। ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। পরবর্তী সর্বোচ্চ রান ছিল টিম রবিনসনের ১০।
১৯৫৯নারী টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জ্যান ব্রিটিন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে ২৭টি টেস্টে ১৯৩৫ রান করেন। তার করা পাঁচটি সেঞ্চুরিও টেস্টে নারী ক্রিকেটে একটি রেকর্ড।
১৯৮৬এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে মাইক গ্যাটিং তার দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ১৮৩ রান করেন। এই ড্র হওয়া ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড টানা সাতটি ম্যাচ হেরেছিল।
১৯২২ভারতের সাবেক স্পিনার গুলাম আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঘূর্ণি উইকেটে ভয়ংকর ছিলেন। তার চারটি পাঁচ উইকেট নেওয়ার ইনিংসের মধ্যে তিনটি ম্যাচেই ভারত হেরেছে। সেরা বোলিং ছিল কলকাতায় ১৯৫৬-৫৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭/৪৯।
Advertisement
১৯৮৪এজবাস্টনে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে ওয়ারউইকশায়ার ২২৭ রানে অক্সফোর্ডশায়ারকে হারায়। অ্যালভিন কালিচরণ ২০৬ রান করার পর বল হাতে ৬/৩২ নেন। ইংল্যান্ডে ওয়ানডে ম্যাচে এটিই ছিল প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
২০২১ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অধিনায়ক স্ট্যাফানি টেলর দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জেতান। তৃতীয় ম্যাচে তিনি ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন এবং পরে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ে পৌঁছে দেন। তিনিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় নারী যিনি টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন।
এমএমআর/জিকেএস