দিয়োগা জোতার মৃত্যুশোকে এখন মুহ্যমান পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। লিভারপুর ও পর্তুগালের এই তারকা ফুটবলারের মৃত্যু জাতীয় দল ও ক্লাব সতীর্থদের হৃদয়ে আরও গভীর শোক ও ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তাদের কাছে এখন পৃথিবীর সবকিছুই নির্মম আর তিক্ত মনে হচ্ছে। পছন্দের কাজগুলোতেও মনোযোগ বসানো যাচ্ছে না।
Advertisement
জোতার মৃত্যুর পর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে পারছেন না আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস এবং হুয়াও কানসেলো। তাদের জন্য অনুশীলন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আল হিলালের কোচ সিমোনে ইনজাঘি খুব কাছ থেকে তাদের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এমনটি জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্পেনে গাড়ি দুর্ঘটনায় ভাই আন্দ্রে সিলভাসহ মারা যান লিভারপুলের ফরোয়ার্ড জোতা। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জাতীয় দলে নেভেস ও কানসেলোর সঙ্গে খেলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের হয়ে খেলার সময় তারা জোতার মৃত্যু সংবাদ পান নেভেস ও কানসেলো। আজ শুক্রবার রাত একটায় অরল্যান্ডোতে ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হবে আল হিলাল।
Advertisement
ইনজাঘি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দিয়োগো এবং আন্দ্রের সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্যই খুব দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা কখনোই ঘটানো উচিত নয়। আমরা সবাই এই মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে জানি। আমাদের দলে দুইজন পর্তুগিজ খেলোয়াড় আছে; রুবেন নেভেস ও হু্য়াও কানসেলো। যারা তাদের ভালো বন্ধু ছিল।’
অনুশীলন সেশন ভালোভাবে শেষ করা নেভেস ও কানসেলোর জন্য কঠিন ছিল জানিয়ে ইনজাগি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের সবার জন্যই খুব কঠিন ছিল। আমরা স্বাভাবিকভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আবহটাই আলাদা ছিল। এটা এক গভীর, গভীর দুঃখজনক ট্র্যাজেডি।’
কানসেলো ইনস্টাগ্রামে জোতার মৃত্যুতে আবেগঘন শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমরা শুধু দুই খেলোয়াড়কে হারাইনি। আজ তিনটি শিশু তাদের বাবাকে হারিয়ে ঘুম থেকে উঠেছে। আজ একজন মা ও বাবা তাদের দুই ছেলেকে হারিয়ে জেগেছেন। আজ এক স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেছেন, তার পাশে আর স্বামী নেই। আজ আমরা সবাই বিস্ময়ে ঘুম থেকে জেগেছি।’
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলাল ও ফ্লুমিনেন্সের ম্যাচটিই একমাত্র কোয়ার্টার ফাইনাল, যেখানে কোনো ইউরোপীয় ক্লাব নেই।
Advertisement
এমএইচ/এএসএম