জনগণের বিরুদ্ধে যদি কোনো রাজনৈতিক দল অবস্থান নেয়, সেই দল অটোমেটিক বিলুপ্ত হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ভুল রাজনীতি করেছে, লুটপাট করেছে, জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
Advertisement
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৭ বছর আগেই। আর বিজয় অর্জন করেছি ৫ আগস্ট। এই বিজয়ের মধ্যে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল- মানুষ শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে। এমপি-মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি যারাই হবেন, তারা নিজেদের যেন মোগল সম্রাট হিসেবে না ভাবেন- সেই ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটবে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দ্রুত সৃষ্টি করার দাবিতে প্রতীকী তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিগত তিনটি নির্বাচনে যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করেছে, তাদের চাকরি থেকে বিতাড়িত করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে। ২০০৮-০৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরিকল্পনা করা হয়েছিল- বাংলাদেশটা যেন ভারতের একটা করদ রাজ্যে পরিণত হয়ে যায়, ভারতের কর্তৃত্ববাদ যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই উদ্দেশে ১/১১ সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য যেই নির্বাচন হয়েছিল, তার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন পাকাপোক্ত হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। আজ সেই অবস্থার বিলুপ্তি ঘটেছে।
Advertisement
প্রশাসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের লোক ঘাপটি মেরে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে তারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করেছে। ডিসি-এসপি, ইউএনওরা দিনের ভোট রাতে করতে সহায়তা করেছেন। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অপরাধে এদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন তাদের নাকি চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। তিনি ঘুষ খাবেন, অনিয়ম-দুর্নীতি করবেন, অবৈধ টাকা কামিয়ে ঢাকা শহরে বাড়ি বানাবেন, ছেলে-মেয়েদের অবৈধ অর্থে বিদেশে পড়াবেন। অথচ এর শাস্তি হবে না, বিচার হবে না। এই মহাচোরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, রহিমা শিকদার প্রমুখ।
এমডিএইচআর/এএমএ/জিকেএস
Advertisement