মুশফিকুর রহিম আউট হলেন। এরপরই সেই পুরোনো রোগ ধরে বসলো বাংলাদেশের। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলো টাইগাররা। শেষ বিকেলে ২৬ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Advertisement
ফলে দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও গল টেস্টে ৫০০ রান করা অনিশ্চিত বাংলাদেশের। আলোকস্বপ্লতায় দ্বিতীয় দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান তুলেছে সফরকারী দল। হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা শূন্য রান নিয়ে শেষ জুটি হিসেবে ক্রিজে আছেন।
এর আগে আজ বুধবার ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩৬ আর মুশফিকুর রহিম ১০৫ রানে ছিলেন।
ভক্ত-সমর্থকরা আশা করছিলেন, শান্ত ২০০ রানের ইনিংস খেলতে পারবেন। মুশফিকও আশা করছিলেন সেটি। কিন্তু তাদের আশা পূরণ হয়নি।১৫০ রানের কাছাকাছি গিয়ে আউট হন শান্ত।
Advertisement
দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ওভারে শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু শটটি ভালো হয়নি। মিডঅফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের হাতে ক্যাচ হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৭৯ বলে ১৪৮ রানের (১৫ চার ১ ছক্কায়) দারুণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। এতে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ২৬৪ রানের অনবদ্য জুটি।
৪০০ পার করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। উইকেটের মাঝে দৌড়ে ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের চাকা দ্রুতই ঘোরাচ্ছিলেন তারা। মুশফিক-লিটনের ছন্দময় সেই খেলায় বাধা সৃষ্টি করে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে দিনের প্রায় ২০ ওভারের মতো খেলা নষ্ট হয়েছে।
পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৪৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক ও লিটন। মুশফিক এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে আসিথা ফার্নান্ডোর বলে। ৩৫০ বলের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
Advertisement
পরের ওভারেই ভুল করে বসেন লিটন। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে রিভার্স সুইপ খেলতে যান রথনায়েকে। গ্লাভসে লেগে বল ওপরে উঠে যায়। উইকেটরক্ষক নেন সহজ ক্যাচ। ১২৩ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৯০ রানেই থামে লিটনের নজরকাড়া ইনিংসটি।
এরপর জাকের আলী বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পেসার মিলান রথনায়েকের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেও স্টাম্প হারান তিনি। ৮ করেই সাজঘরে ফেরেন জাকের। রথনায়েকে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলামকেও (৬)। বেরিয়ে যেতে থাকা বল ব্যাটে লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাইম হাসান (১১)।
এমএমআর/জিকেএস