কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলা হয়।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাতার বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ ও বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম আহত হন। প্রথমে তাদের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুড়তলা এলাকার ঈসামুদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হামলায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ঈসামুদ্দিন মাস্টারের পরিবারের সদস্য বিলকিস বেগম বলেন, জাতীয়তাবাদী জনতা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. রায়হানুল ইসলাম রাজুর নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
Advertisement
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয়তাবাদী জনতা দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. রায়হানুল ইসলাম রাজু বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নিজেরাই বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্টো গতকাল আমার চাচাকে আওয়ামী লীগের লোকজন কুপিয়ে আহত করেছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের। এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বিষয় জড়িত থাকার তথ্য পাইনি। এছাড়া লিখিত অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement