বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে প্লাস্টিক শিল্পের ৬ হাজার কারখানার মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, এই ২০ শতাংশের মধ্যে সিংহভাগ বন্ধ হয়েছে বাকিগুলো বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ এর ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় বিপিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি, বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সামিম আহমেদ বলেন, আমাদের শিল্প কোভিড-১৯ সময়ে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছিল। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এখন কোভিড আবার শুরু হয়েছে। এর মাঝে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ আরও শঙ্কা তৈরি করেছে। যুদ্ধের ফলে এলএনজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে, এতে আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের প্লাস্টিক খাত।
Advertisement
সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক শিল্প বর্তমানে দেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই খাতে দক্ষতা ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। অথচ শুল্ক ও ভ্যাট জটিলতার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন যন্ত্রপাতি আমদানিতে নিরুৎসাহিত হয়।
ইএআর/এমআরএম/জেআইএম