শ্রীলঙ্কায় গল টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে ঘোরের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন থারিন্দু রথনায়েকে। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও তিনে নামা মুমিনুল হকের উইকেট নিয়ে টাইগারদের বিপদেই ফেলেছিলেন সদ্য অভিষেক করা এই লঙ্কান রহস্যস্পিনার। টানা দুই বলে সাদমান-মুমিনুলকে আউট করেন দুই হাতে বোলিং করতে পারা রথনায়েকে। যে কারণে তাকে নিয়ে বেশ আগ্রহী তৈরি হয়েছে ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে।
Advertisement
যদিও পুরো দিনে আর কোনো উইকেট পাননি তিনি। এমনকি শ্রীলঙ্কার পুরো বোলিং ইউনিটও ফিরেছে খালি হাতে। ৩ উইকেটে ৪৫ রান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৯২ রান।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন রথনায়েকে। দুই হাতে বোলিং করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না আমি কোন হাতে বেশি উইকেট নিয়েছি। আমি কখনো ঠিকভাবে দেখেও দেখিনি। আমি দুই হাত দিয়েই প্রচুর বল করেছি। যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুরু করেছিলাম, তখন অনেক বেশি বল করতাম বাঁ হাতে। কিন্তু কয়েক বছর পর সেটা হয়ে যায় প্রায় ৬০ শতাংশ ডান হাতে আর ৪০ শতাংশ বাঁ হাতে।’
কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের প্রথম দিন ১৫.৫ ওভার ডান হাতে অফস্পিন করার পরই প্রথমবার বাঁ-হাতে স্পিন করেছেন। তাহলে এবার এত দেরি করে বাঁ-হাতে বোলিং করলেন কেন?
Advertisement
জবাবে রথনায়েকে বলেন, ‘আমি মনে করেছি, ব্যাটারের দিকে ঢুকে যাওয়া বল খেলাটা ওদের জন্য বেশি কঠিন। কারণ এই পিচটা ব্যাটারদের অনুকূলে। ডান হাতে অফস্পিন করলে বিশেষ করে ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে লাল বলে খেলা সহজ নয়। আমি যখন অফস্পিন করি, তখন ফিল্ড সেট করতেও আমার কাছে বেশি অপশন থাকে। বাঁ হাতে স্পিন করলে উইকেট আমাদের মতো করে আচরণ করছে না, ওরা সহজে গ্যাপ বের করে মারতে পারে, স্কোর করার সুযোগ বেশি পায়।’
‘ম্যাচের আগে আমাদের পরিকল্পনায় থাকে, কোন ব্যাটার কোন ধরনের বল ভালো খেলে এবং কোন সাইডে বেশি মারতে চায়। আমি সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করি, ওদের দুর্বলতা খুঁজে বের করি এবং হাত পরিবর্তন করি যেন সেটা কাজে লাগে’- তিনি যোগ করেন।
রথনায়েকের শিকার বাংলাদেশের উভয়ই (সাদমান-মুমিনুল) বাঁহাতি ব্যাটার। ডানহাতি অফব্রেক বল করে তাদেরকে স্লিপে ক্যাচ বানান রথনায়েকে। তার মতে, শুরু উইকেট একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও দিনের বাকি অংশে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হয়ে ওঠে।
রথনায়েকে বলেন, ‘শুরুতে একটু আর্দ্রতা ছিল, কিন্তু পরে শুকিয়ে যায়। স্পিন খুব একটা কাজে লাগেনি। আমি মনে করি, চতুর্থ দিন পর্যন্ত উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো থাকবে।’
Advertisement
এমএইচ/জেআইএম