খেলাধুলা

দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের স্বস্তি

দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের স্বস্তি

গল টেস্টের প্রথম দিনের প্রথমে সেশনেই ৩ উইকেটের পতন হয়েছিল বাংলাদেশের। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো গলের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বড় স্কোর করতে পারবে না সফরকারীরা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে স্বস্তিজনক পারফরম্যান্স করেছে টাইগাররা। যার সম্পূর্ণ অবদান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের।

Advertisement

চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩৭ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে আলো দেখাচ্ছেন তারা, যে জুটির পরিসর প্রথম সেশনের মাঝামাঝি থেকে দ্বিতীয় সেশনের শেষ পর্যন্ত। দু'জনই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। শান্ত ৭০ আর মুশফিক ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে চা-বিরতিতে গেছেন।

অর্থাৎ দ্বিতীয় সেশনে ৩০ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় রানের ঝুলিতে আরও ৯২ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। আর দুই সেশন মিলিয়ে ৫৮ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের মোট সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান।

আজ মঙ্গলবার গলে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

Advertisement

শুরু থেকেই খুব রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। উইকেটের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটারের সেই চেষ্টা বিফলে যায়। ১০ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আউট হন বিজয় (১০ বলে ০)।

শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে ঠেকাতে যান বিজয়। কিন্তু কিছুটা বাইরের দিকের বলটি বিজয়ের ব্যাট স্পর্শ করে সোজা গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে জমা হয়। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটি করার চেষ্টা করেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। এতে কিছুটা আলো দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই হাতে বোলিং করতে পারা অভিষিক্ত লঙ্কান স্পিনার থারিন্দু রথনায়েকের হাতে কুপোকাত হন বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটার।

ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে সাদমানকে স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতের ক্যাচ বানান রথনায়েক। এতে ৩৪ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই মুমিনুলকে সেই ডি সিলভার হাতেই জমা করেন তিনি। অর্থাৎ টানা দুই বলে দুটি উইকেট তুলে বাংলাদেশের ইনিংসে হঠাৎ ধস নামান রথনায়েক।

Advertisement

৫৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। ৩৩ বলে ২৯ রান করেন মুমিনুল। দলীয় ৪৫ রানে ৩ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

এরপরই দুর্দান্ত শতরানের জুটি করেন শান্ত-মুশফিক।

এমএইচ/এমএস