গলের পিচ ব্যাটিংবান্ধব, তা মোটামোটি সবাই জানে। সে বিবেচনায় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে কিছুটা হতাশ হতেই হয় বাংলাদেশকে। কারণ, এমন ইতিবাচক কন্ডিশনে নেমেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেশনেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ২৮ ওভার ব্যাট করে বিনিময়ে সফরকারীরা পেয়েছে ৯০ রান।
Advertisement
চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছেন নাজমুল হোসেন ও মুশফিকুর রহিম। শান্ত ২৫ আর মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত।
আজ মঙ্গলবার গলে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই খুব রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। উইকেটের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটারের সেই চেষ্টা বিফলে যায়। ১০ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আউট হন বিজয় (১০ বলে ০)।
Advertisement
শ্রীলঙ্কার ডানহাতি পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে ঠেকাতে যান বিজয়। কিন্তু কিছুটা বাইরের দিকের বলটি বিজয়ের ব্যাট স্পর্শ করে সোজা গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে জমা হয়। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি করার চেষ্টা করেন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। এতে কিছুটা আলো দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই হাতে বোলিং করতে পারা অভিষিক্ত লঙ্কান স্পিনার থারিন্দু রথনায়েকের হাতে কুপোকাত হন বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটার।
ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে সাদমানকে স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতের ক্যাচ বানান রথনায়েক। এতে ৩৪ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই মুমিনুলকে সেই ডি সিলভার হাতেই জমা করেন তিনি। অর্থাৎ টানা দুই বলে দুটি উইকেট তুলে বাংলাদেশের ইনিংসে হঠাৎ ধস নামান রথনায়েক।
৫৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। ৩৩ বলে ২৯ রান করেন মুমিনুল।
Advertisement
এরপরই জুটি গড়ার চেষ্টায় ব্যাট করছিলেন শান্ত-মুশফিক।
এমএইচ/জেআইএম