হার্ভার্ড বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক, যারা ১৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই বৈচিত্র্যই হার্ভার্ডকে একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় করে তুলেছে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু সংখ্যায় নয়, বরং গবেষণা, বিতর্ক, সংস্কৃতি ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
Advertisement
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৬৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স ঔপনিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ‘হার্ভার্ড’ নামটির নিজস্ব আলাদা কোনো শব্দার্থ নেই, এটি একজন ব্যক্তির নাম থেকে এসেছে। ‘হার্ভার্ড’ নামটি এসেছে জন হার্ভার্ড নামক এক ইংরেজ ধর্মযাজকের নাম থেকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যতম প্রথম দাতা ছিলেন। ১৬৩৮ সালে তিনি তার সম্পত্তি ও বইয়ের সংগ্রহ হার্ভার্ড কলেজকে দান করেন। তার সম্মানেই ১৬৩৯ সালে কলেজটির নামকরণ করা হয় হার্ভার্ড কলেজ।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালে ফল সেশনের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ২৪ হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী এবং ২১ হাজার ২০১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৮০০ জন। শিক্ষক: ২ হাজার ৪৪৫ জন, গবেষণা ও অন্যান্য একাডেমিক কর্মী: ৩ হাজার ৪৮ জন, প্রশাসনিক ও পেশাদার কর্মী: ৫৪৫ জন, সহায়ক পরিষেবা ও কারিগরি কর্মী: ৫ হাজার ৭৩৮ জন, অন্যান্য (যেমন: অ্যালাইড ইনস্টি টিউশনস) ১ হাজার ৪২৫ জন।
২০২৫ সালের মে মাসে, মার্কিন প্রশাসন হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন বাতিল করে। তবে, এক ফেডারেল বিচারক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অস্থায়ী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। গত ৫ মে দ্বিতীয় বারের মতো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন বাতিল করেছে।
Advertisement
হার্ভার্ড তার ঐতিহ্য ও মান বজায় রাখতে সক্ষম হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। আজকের বৈশ্বিক বিশ্বে শিক্ষা সীমান্ত মানে না। হার্ভার্ডকে হার্ভার্ড রাখার মানে হলো তার দরজাগুলো বিশ্ববাসীর জন্য খোলা রাখা, গবেষণাকে বহুজাতিক হতে দেওয়া এবং জ্ঞানচর্চাকে মুক্ত রাখতে পারা। তা-না হলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা হয়তো অচিরেই হার্ভার্ডের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।
হার্ভার্ড শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নয়, বরং একটি আদর্শ, একটি মানচিত্র, একটি বৈশ্বিক শিক্ষার প্রতীক। বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা যারা জ্ঞান অন্বেষণে ছুটে আসেন, তাদের জন্য হার্ভার্ড এক পরম স্বপ্ন। অথচ সাম্প্রতিক সময়ের মার্কিন প্রশাসনের এক সিদ্ধান্ত সেই স্বপ্নকেই ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘তামাশা’ বলে সমালোচনা করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার প্রশাসনের চলমান বিরোধের অংশ। এই মন্তব্যের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে: ট্রাম্প দাবি করেছেন যে হার্ভার্ডের অনেক শিক্ষার্থী মৌলিক গণিত সমস্যাও সমাধান করতে পারে না, যেমন ‘২+২’ যোগফল নির্ণয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক গণিত কোর্সের সমালোচনা করে বলেন যে, এটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক দক্ষতার অভাবকে প্রকাশ করে।
হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘ঘৃণা ও মূর্খতা’ শেখায়। তিনি বিক্ষোভকারীদের অ্যান্টিসেমিটিক বলে অভিহিত করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
Advertisement
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে: তার মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিতের পাশাপাশি প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল গবেষণা তহবিল স্থগিত করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটরস প্রোগ্রাম’ সার্টিফিকেশন বাতিল করা, হার্ভার্ডের করমুক্ত মর্যাদা প্রত্যাহারের অনুরোধ করা ইত্যাদি।
এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ফলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ভিসা প্রসেস বাধাগ্রস্ত হয়। এই সিদ্ধান্তকে হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার ব্যাখ্যা করেন এভাবে ‘এই পদক্ষেপ হার্ভার্ডকে হার্ভার্ড রাখে না’। বলা হচ্ছে, এ কথা আবেগে ভরপুর হলেও বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত নয়। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, হার্ভার্ড ‘প্রায় সব ওয়োক, র্যা ডিকাল লেফট, বোকা’ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে, যারা শিক্ষার্থীদের ব্যর্থতা শেখাচ্ছেন। তিনি বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় থাকা উচিত নয় !
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, দাবি করে যে এই পদক্ষেপগুলো সংবিধানবিরোধী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা হরণ করে। একটি ফেডারেল বিচারক অস্থায়ীভাবে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন, তবে আইনি লড়াই এখনো চলমান।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কেবল নিরাপত্তা বা অভিবাসন নীতির দোহাই নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিশোধ, ‘ওয়োক’ বিশ্ববিদ্যালয় ও মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে এক ধরনের চরমপন্থি অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শিক্ষার অরাজনৈতিক চরিত্রকে এই সিদ্ধান্ত সরাসরি আঘাত করেছে।
হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের অন্তত ২৭ শতাংশই আন্তর্জাতিক। তাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল বিজয়ীর ভবিষ্যৎ, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের কারিগর এবং মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নেতৃত্ব। বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু শ্রেণিকক্ষে নয়, গবেষণাগার, প্রকাশনা এবং বৈশ্বিক সম্পর্ক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই ছাত্রদের বাদ দেওয়া মানে হার্ভার্ডকে একটি সংকুচিত, একদেশভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত যে শুধু প্রশাসনিক তা নয়, এটি রাজনৈতিকও। ‘ওয়োক’ বিশ্ববিদ্যালয়, উদারনৈতিক একাডেমিক চিন্তা ও বৈচিত্র্যের বিরোধিতার একটি প্রকাশ এটি। হার্ভার্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারে এটি সরাসরি হস্তক্ষেপ। এছাড়া গবেষণা খাতে এর প্রভাবও ভয়াবহ। বহু প্রকল্প, ল্যাব ও আন্তর্জাতিক ফান্ডিংনির্ভর করে বৈদেশিক ছাত্র ও গবেষকদের ওপর। এই প্রবাহে বাধা দেওয়ায় আমেরিকার বৈজ্ঞানিক নেতৃত্বও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞা শুধু বিদেশি ছাত্রদের ঠেকানো নয়, এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মাকে আঘাত করা। এই দমননীতি আজকে ‘হায়রে ট্রাম্প, হায় হায় হার্ভার্ড’-এ রূপ নিয়েছে। এবছরের শুরুতেই প্রায় ৬ হাজার ৮০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। হার্ভার্ড এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে হার্ভার্ডের মামলা দায়ের শুধুই প্রতিরোধমূলক নয়, এটি উচ্চশিক্ষা ও যুক্তিবোধ রক্ষার এক বিবেচনাপূর্ণ লড়াই।
এ ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে এবং অনেকেই বিকল্প দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবছেন, যেমন কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি, যেখানে অভিবাসন নীতিমালা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ও সহায়ক।
কিছু কিছু ঘটনা ও বিষয় হার্ভার্ডের জন্য সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে হার্ভার্ডের নেতৃত্বের অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাদের মধ্যে ‘ওয়েজনার ফাউন্ডেশন ও লা ব্লাভেন্টিক’র মতো প্রধান দাতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এই ধরনের দাতাদের সমর্থন হ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও গবেষণা কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ফ্রান্সেস্কা গিনো-র বিরুদ্ধে গবেষণায় তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয় এবং তার পদবি প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার নিহত দাসদের মাথার খুলিকে পলিশ করে সোনা-রুপার হাতলে দিয়ে মগ বানিয়ে পানীয় পানের পাত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ শোনা গেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে যা অনেক নেতিবাচক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ১৮৩৮ সালে অধ্যাপক ড্যান হিকসের ‘এভরি মনুমেন্ট উইল ফল’ গ্রন্থে অক্সফোর্ডের শিক্ষকদের ওপর এমন অভিযোগ পরে বনেদি হার্ভার্ডের ওপরও প্রভাব ফেলেছে।
হার্ভার্ডের অনেক গবেষণাগার, প্রকল্প এবং ল্যাবনির্ভর করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও স্কলারদের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ও বৈজ্ঞানিক নেতৃত্ব এমন সিদ্ধান্তে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই সংকট আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান বিতরণের স্থান নয়; এটি মূল্যবোধ, উন্মুক্ততা ও মানবতার কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বাদ দিয়ে উচ্চশিক্ষা কোনোভাবেই পরিপূর্ণ হতে পারে না। হার্ভার্ডের আইনি লড়াই, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট তা হলো শিক্ষাকে কোনো সীমানা বা রাজনীতির বেড়াজালে আটকে রাখা যায় না।
এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের ‘স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিজিটরস প্রোগ্রাম’ সার্টিফিকেশন বাতিল করে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ভিসা স্পন্সর করতে অক্ষম হচ্ছে। হার্ভার্ডের মতে, এ পদক্ষেপটি ছিল রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, এ সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ ও অযৌক্তিক’ এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ। এছাড়া বিদেশি ছাত্র ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা কিছুদিনের মধ্যে হার্ভাডের বৈশ্বিক সুনাম ও বৈচিত্র্য নষ্ট করে দেবে এবং ধ্বংস ডেকে আনবে। তাই বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এর দ্বার সবসময় খোলা রাখতে হবে।
হার্ভার্ড এখনো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, দাতাদের সমর্থন হ্রাস এবং গবেষণায় বিশ্বাসযোগ্যতা সংকট তার আন্তর্জাতিক সুনাম ও আকর্ষণকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে হার্ভার্ড তার ঐতিহ্য ও মান বজায় রাখতে সক্ষম হবে কি না- তা সময়ই বলে দেবে। আজকের বৈশ্বিক বিশ্বে শিক্ষা সীমান্ত মানে না। হার্ভার্ডকে হার্ভার্ড রাখার মানে হলো তার দরজাগুলো বিশ্ববাসীর জন্য খোলা রাখা, গবেষণাকে বহুজাতিক হতে দেওয়া এবং জ্ঞানচর্চাকে মুক্ত রাখতে পারা। তা-না হলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা হয়তো অচিরেই হার্ভার্ডের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।
লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন। fakrul@ru.ac.bd
এইচআর/এএসএম