দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে হাসপাতালে ঢুকে দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কুড়িগ্রামে হাসপাতালে ঢুকে দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন দম্পতির ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগীর ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

Advertisement

এর আগে শনিবার (১৪ জুন) ভোরে হাসপাতালের সাত নম্বর রুমের মহিলা ওয়ার্ডে হামলা চালায় তারা।

আহতরা হলেন, রুমি বেগম (৩৮) ও তার স্বামী আব্দুল করিম (৪২)। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শী আকলিমা বেগম জানান, শনিবার ভোরে অপরিচিত ৬-৭ জন কিশোর দল বেধে হাসপাতালে প্রবেশ করে। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় রুমি বেগমকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় রুমি বেগমের স্বামী আব্দুল করিম বাধা দিতে গেলে তাকেও আহত করা হয়।

Advertisement

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার আগের দিন বিকেলে সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে পাওনা ২২০০ টাকার জন্য রুমি বেগমকে শারীরিক নির্যাতন ও কপালে চাকু দিয়ে আঘাত করে তিন কিশোর। এতে রুমি বেগমের কপালে চারটি সেলাই পড়ে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তিনজনকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে দুপক্ষের সিদ্ধান্তে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোরদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়। পরে গৃহবধূ রুমি বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি পাওয়া সেই কিশোররা সংঘবদ্ধ হয়ে হাসপাতালে হামলা চালায় অভিযোগ করেন তারা।

আব্দুল করিম জানান, আমার মেয়ে জামাইয়ের কাছে ২২০০ পান ভেলাকোপা গ্রামের সোহেল। রোববার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর দুদিন আগে (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ওই ছেলেগুলো বাড়ির ভেতরে ঢুকে অকথ্য গালিগালাজ ও চাকু দিয়ে আমার স্ত্রীর কপালে আঘাত। স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ওরা হাসপাতালের ভেতরে আমাদের ওপর হামলা করে।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. শহিদুল্লাহ বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আইনগত ব্যবস্থা নিতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

রোকনুজ্জামান মানুষ/আরএইচ/এমএস