দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট প্রকট। সংকট কাটাতে প্রায় ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।
Advertisement
সোমবার (১৬ জুন) বিকেল বা সন্ধ্যায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আর আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হবে।
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২টি। এরমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীন স্কুল-কলেজে ৪৬ হাজার ৪১৪টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার ৭২৮টি শূন্যপদ রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে।
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আজইআজ সোমবারই ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। গত ৪ জুন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। আমরা আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়াটা বাকি।
Advertisement
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি শূন্যপদ কত হবে, তা আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদা নিয়ে নিয়েছে এনটিআরসিএ। তারপরও যাচাই-বাছাইয়ে কিছু পদ কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী।
পদসংখ্যা কত হবে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাহিদা নিয়েছিলাম। তখন শূন্যপদের সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ১৪২টি হয়েছিল। তার মধ্যে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের চাহিদাও দিয়েছিলেন। তাছাড়া অনেকে অতিরিক্ত চাহিদা দিয়েছেন। যাচাইয়ে সেগুলো বাদ পড়েছে। বাদ পড়ার সংখ্যাটা খুব বেশি হবে না। ৯০ হাজারের বেশি পদের বিপরীতে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
আবেদন, ফি ও যোগ্যতাআজ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আবেদন শুরু হবে আগামী ২২ জুন। এদিন থেকে এনটিআরসিএ ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত লিংকে ক্লিক করে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। তবে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা।
Advertisement
একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দক্রম দিতে পারবেন। তবে পছন্দক্রম ছাড়াও যদি কোনো প্রার্থী অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে সেই পছন্দও (অপশন) দিতে পারবেন।
এদিকে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর অথবা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর থাকতে হবে। ফলে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ এবং সনদ অর্জনের তিন বছর পার হয়েছে, এমন প্রার্থীরা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না।
এএএইচ/এমআরএম/জিকেএস