জাতীয়

দুইদিনেও শনাক্ত হয়নি কেউ, সন্দেহের তীর ‘নগদ’ কর্মীদের দিকে

দুইদিনেও শনাক্ত হয়নি কেউ, সন্দেহের তীর ‘নগদ’ কর্মীদের দিকে

রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ এর এক প্রতিনিধির কাছ থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Advertisement

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জড়িতদের শনাক্তে মাইক্রোবাসটির খোঁজ চলছে এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ একাধিক গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। এছাড়াও প্রযুক্তিগতভাবে তদন্ত করছে পুলিশের একাধিক ইউনিট।

এ ঘটনায় পুলিশের সন্দেহের তীর ‘নগদ’ কর্মীদের দিকে। তারা ‘নগদ’ ডিস্ট্রিবিউটরের মালিক, দুই ম্যানেজার, সেলসম্যান ও নিরাপত্তাকর্মীসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আরও পড়ুন উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে ‘নগদ’ এজেন্টের কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাই 

গত শনিবার সকালে এ ঘটনার পর রাতে ‘নগদ’ ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয়ের ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা, ওই ডিস্ট্রিবিউটিং অফিসের কোনো কর্মীর ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে। যার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আগেই ঘটনাস্থলে ছিল ছিনতাইকারীরা।

জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় ‘নগদ’ এর কর্মীদেরও সন্দেহের বাইরে রাখছি না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে উত্তরার ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহীর গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাস। র‌্যাবের পোশাক পরিহিত তিনজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের দুজন ভয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেন। তাদের পিছু নেয় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। মোটরসাইকেলের এক আরোহীকে ধরে এনে মাইক্রোবাসে তুলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।

এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি পরিকল্পিত। বেশ কয়েকটি ক্লু ধরেই তদন্ত চলছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কোনো ঝামেলা ছিল কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

টিটি/এসএনআর/জিকেএস