সিরিজটি ছিল তিন ম্যাচের। কিন্তু প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। ফলে সিরিজ নিশ্চিতের একমাত্র সুযোগটি ছিল শেষ ম্যাচ জয়। আর সেই সুযোগই দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
Advertisement
ছক্কাবৃষ্টিতে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৬) করে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ৬২ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্রেডি স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। তাদের ছক্কার তোড়ে বারবার স্টেডিয়ামের আশপাশের গাছগুলো কেঁপে ওঠছিল আর বলও হারিয়ে যাচ্ছিলো।
পুরো ইনিংসে ২০টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ এ তাণ্ডবীয় ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১১ রান করেছিলেন তারা।
Advertisement
এভিন লুইস (৪৪ বলের ইনিংসে ৯১) ও শাই হোপ (২৭ বলে ৫১) এবং অভিষিক্ত কেসি কার্টি (২২ বলে অপরাজিত ৪৯) রেকর্ড গড়ার পথে নেতৃত্ব দেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র দুইবারই এত বেশি রান সফলভাবে চেজ করে জেতা সম্ভব হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের ভালো শুরু সত্ত্বেও ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রান নিতে না পেরে পিছিয়ে পড়ে।
পল স্টার্লিং (৬ বলে ১৩) আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আউট হওয়ার পর রস অ্যাডায়ার ও হ্যারি টেক্টর মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রান যোগ করেন। কিন্তু ১১তম ওভারে টেক্টরের আউটের (২৫ বলে ৩৮) পর ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়ে আইরিশরা। শেষমেশ স্কোর ফিকে হয়ে যায়।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে লুইস ও হোপ প্যাওয়ারপ্লেতে ৭০ রান জুটিতে গড়ে উড়ন্ত সূচনা করেন। উভয় ব্যাটারই ছয় ছক্কায় অর্ধশতক স্পর্শ করেন; লুইস ২৯ আর হোপ হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করতে খেলেন মাত্র ২৪ বল।
Advertisement
১১তম ওভারে দলীয় ১১৩ রানে হোপকে লং-অন থেকে আউট করে অ্যাডায়ার। এতে ওপেনিং জুটি ভাঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপর রোভম্যান পাওয়েল ও লুইস দ্রুত আউট হলে ১১ বলেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তবুও স্কোরিং থামেনি।
কেসি কার্টি ২২ বলে চারটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৯ রান করেন। আর শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ড স্বল্প রানের ইনিংসে ধারাপ্রবাহ যোগান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট ২৫৬ রানের ২০০ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।
এমএইচ/জেআইএম