‘ভুল অস্ত্রোপচারে’ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিক সিলগালা

নীলফামারীর ডোমারে ভুল অস্ত্রোপচারে বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে।

রোববার (১৫ জুন) বিকেলে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শায়লা সাঈদ তন্বী।

বেবী আক্তার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেবী আক্তারের প্রসব বেদনা হলে শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক রিজওয়ানা ইয়াসমিন বিভিন্ন টেস্ট শেষে দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন বেবী আক্তার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। এমনকি তার শ্বাসকষ্ট হলেও অক্সিজেনও দেওয়া হয়নি।

এসময় চিকিৎসক রিজওয়ানা ইয়াসমিন কোনো ধরনের পদেক্ষেপ নেননি বলে স্বজনদের অভিযোগ। একপর্যায়ে বেবী আরক্তারের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে তাকে সেখানে নিয়ে গেলে রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। খবরটি জানাজানি হলে স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ ও বিচার দাবি করেন।

এসময় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ক্লিনিকের ডা. নাজমুস সাকিব, নার্স সুমনা আক্তার ও সাবিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত বেবি আক্তারের স্বামী নুর আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ক্লিনিক সিলগালা করেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী জাগো নিউজকে বলেন, ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগে জনতা ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআর/এএসএম