দেশজুড়ে

ছাদেও যাত্রীতে ঠাসা ট্রেন, ভোগাচ্ছে শিডিউল বিপর্যয়

ছাদেও যাত্রীতে ঠাসা ট্রেন, ভোগাচ্ছে শিডিউল বিপর্যয়

ট্রেন এসে স্টেশনে থামছে। এসময় দৌড়ে দরজা কিংবা জানালা দিয়ে ঠেলেঠুলে উঠতে চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। ট্রেনের ভেতরসহ ছাদেও কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এ অবস্থায় অনেকে ওঠার সুযোগও পাচ্ছেন না। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে এভাবেই গন্তব্যে ফিরতে চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ভোগাচ্ছে শিডিউল বিপর্যয়। নির্দিষ্ট সময় পর ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হচ্ছেন যাত্রীরা।

Advertisement

রোববার (১৫ জুন) সকালে ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

যাত্রীরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ট্রেনে মানুষের ঢল নামবে, ট্রেনে জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, এটি সবাই জানে। তাই কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে প্রত্যেক ট্রেনে বগির সংখ্যা যথেষ্ট বাড়ানোর দরকার ছিল। ট্রেনের ভেতরসহ ছাদেও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ছাদে ঠাসাঠাসি অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা।

হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় উঠতে না পেরে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাহিদ হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ট্রেনের ভেতরসহ ছাদে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় শত চেষ্টা করেও উঠতে পারিনি। ট্রেনটি দেরি করে ছেড়ে গেছে।’

Advertisement

রেলওয়ে স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, ‘গতকাল ট্রেন থেকে নামার পর একজন যাত্রীর মোবাইল নিয়ে দৌড় দিয়েছে চোর। এসময় তাকে অন্য যাত্রীরা ধরে গণধোলাই দিয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রেলওয়ে থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও তৎপরতা প্রয়োজন।’

স্থানীয় রেলওয়ে থানা পুলিশ (জিআরপি) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) জানায়, ছাদে না উঠতে তারা মাইকিং করে যাত্রীদের বারবার সতর্ক করছেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেটা কার্যকর হচ্ছে না। চুরি-ছিনতাই রোধে তাদের তৎপরতা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, আমাদের জনবল সীমিত। কিন্তু যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেশি। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মো. নাজমুল হক খান জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের ওঠানামার সুবিধার্থে প্রতিটি ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও ১০-১৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ছে। বগির তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় অনিরাপদেই ফিরছেন যাত্রীরা। তারপরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করে ট্রেন পরিচালনা করছে।

Advertisement

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এএসএম