আর মাত্র কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট শুরু হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। বিজেপির কলকাতার উত্তর শহরতলী জেলার কার্যালয়ে জেলা সভাপতিসহ আরেক রাজ্য কমিটির নেতার নামে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোষ্টার টাঙানো হয়েছে।
Advertisement
বিজেপির উত্তর শহরতলী জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায় ও রাজ্য বিজেপির নেতা দীপাঞ্জন গুহর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলের জেলা অফিস ও রাজ্য অফিসে পোস্টার মারাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে রাজ্যে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস ও সিপিএম।
পোস্টারে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি চণ্ডীচরণ রায় ও দীপাঞ্জন গুহর নাম উল্লেখ করে পোস্টারে লেখা আছে, টাকা, নারী, বাড়ি, গাড়ি দাও চণ্ডীচরণ ও দীপাঞ্জনের থেকে পদ নাও। একই সঙ্গে এই দুই নেতার অনুগামীদের হটাও, কলকাতার উত্তর শহরতলী জেলা বিজেপি বাঁচাও বলেও পোস্টারে লেখা রয়েছে। কলকাতা উত্তর শহরতলী জেলার বিজেপির কর্মীবৃন্দ এই পোস্টার লাগিয়েছে বলেই পোস্টারের নিচে দাবি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপরেই কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল সাহা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপির যে কর্মীরা এই পোস্টার লাগিয়েছেন তাদের বলবো বিজেপি করছেন কেন? যে দলের স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি করতে পারবেন, সেই দলে যোগ দিন। কেউ যদি তৃণমূলে আসতে চান আবেদন করুন।
Advertisement
কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল সাহার প্রতিক্রিয়া সামনে আসার পরেই সিপিএম-এর সাবেক বিধায়ক মানস মুখার্জি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির একই কালচার। এরা পয়সার একদিক আর দুইদিক। এরা টাকা পয়সা নারীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির কমিউনিস্ট পার্টিতে জায়গা নেই।
বিজেপির সাবেক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে উত্তর শহরতলী জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায় এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
ডিডি/টিটিএন
Advertisement