টেক জায়ান্ট গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী রিচিতা খন্দকার রিফাত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
Advertisement
শনিবার (১৪ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। ১২ জুন তিনি টেক জায়ান্ট গুগলের তাইওয়ান অফিসে সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পান। বর্তমানে রিচিতা দেশেই স্যামসাং আইআইটি ইনস্টিটিউটে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
রিচিতা খন্দকার রিফাতের বাসা দিনাজপুর সদর উপজেলার কালিতলা গ্রামে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন।
ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অভ্যাস ছিল তার। কোডিং বা প্রোগ্রামিং নিয়েও তার আগ্রহের কথা জানান রিচিতা।
Advertisement
গুগলে চাকরির সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রিচিতা বলেন, অনুভূতি আসলে ভালো। ডেফিনেটলি একটু ভাবছিলাম বিষয়টি নিয়ে। ফাইনালি এটা হয়ে গেলো। সত্যিই ভালো লাগছে। নিউজটা পাওয়ার পর এত মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছে যে কী বলব। আমি আসলে অনেক খুশি।
স্বনামধন্য এই কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি আসলে সেভাবে প্রস্তুতি নেইনি। এর আগে আমি কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। তাই সেই অভিজ্ঞতাগুলোই কাজে লেগেছে। আমি পরীক্ষার আগে জাস্ট দেখে গেছি কীভাবে পরীক্ষাটা হয়, কী কী প্রশ্ন আসে, কীভাবে কথা বলতে হয় এগুলো। এর বাইরে আসলে সেরকম কিছু দেখা হয়নি।
প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আসলে সারাবিশ্বেই চাকরির খারাপ সময় যাচ্ছে। আর দেশের বাইরে চাকরি পাওয়ার হারও কমে গেছে। তাছাড়া প্রশ্নগুলো আগের থেকে একটু হার্ড হয়। আমি টেনশনে ছিলাম ভাইভায় ডাকবে কিনা, কী হয় না হয়। তবে কনফিডেন্স ছিল। এটাকে মূলত প্রতিবন্ধকতা বলা যায় না। এছাড়া তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা আসেনি।
চাকরিতে যোগদানের তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুই-তিন দিন হলো। আর জয়েন ১৮ আগষ্টের কথা বলেছে। তবে কাগজপত্রের ব্যাপার তো, একটু লেনদি প্রসেস। সেজন্য জয়েনিং ডেট পেছাতেও পারে।
Advertisement
শিক্ষাজীবনে তিনি আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। স্কুল-কলেজ লাইফে অলিম্পিয়াড করেছি। সেই জায়গায় জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার আছে। ক্যাম্প করেছি। এছাড়া ভার্সিটিতে আসার পর কনটেস্ট করেছি। সেখানে পুরস্কার আছে। আমি যে টিমে ছিলাম সেই টিম চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। আইসিপিসিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।
অনুজদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখার কোনো বিকল্প নেই। যে স্টেজে আছো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়- সেখান থেকে যতটুকু শেখা যায় শিখে নাও, জেনে নাও। কোনো কিছু যেন বাদ না থাকে। পরবর্তীতে আশা করি কাজে লাগবে।
এএমএ/এমএস