ফরজ নামাজের জামাতের আগে ইকামত দেওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। মসজিদে ও মসজিদের বাইরে যে কোনো জায়গায় ফরজ নামাজের জামাতের আগে ইকামত দিতে হবে। নবিজি (সা.) সব সময় ইকামত দিয়েই নামাজ পড়াতেন। তাই জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইকামত না দেওয়া মাকরুহ।
Advertisement
যেসব মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন নির্ধারিত নেই, সেখানে ফরজ নামাজের একাধিক জামাত হলে প্রত্যেক জামাতের শুরুতে ইকামত দেবে। আর যেসব মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন নির্ধারিত আছে, সেখানে দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহ। এরপরও কেউ যদি দ্বিতীয় জামাত করে, তাহলে ইকামত দেবে না।
মসজিদে দ্বিতীয় জামাত কেন মাকরুহ?একই মসজিদে এক ওয়াক্তের ফরজ নামাজের জন্য একাধিক জামাতকে আলেমরা মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেন কারণ একাধিক জামাত হলে মসজিদের প্রথম ও মূল জামাতের গুরুত্ব কমে যেতে পারে, মূল জামাতে মুসল্লি কমে যেতে পারে।
কেউ সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও মসজিদের নির্ধারিত জামাতে অংশ নিতে না পারলে পরে তার উচিত জামাত না করে একা নামাজ আদায় করে নেওয়া। আর জামাতে নামাজ আদায় করতে চাইলে নিজের বাসায় বা মসজিদের বাইরে অন্য কোথাও জামাত করা যেতে পারে।
Advertisement
হজরত আবু বকরা (রা.) তার বাবা থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) একদিন কোনো এক কাজে বের হয়েছিলেন। মদিনায় ফিরে মসজিদে গিয়ে দেখলেন সাহাবায়ে কেরাম নামাজ পড়ে নিয়েছেন। তখন তিনি ঘরে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়লেন। (আল মু’জামুল আওসাত লিত-তাবরানি: ৪৬০১)
ফরজ নামাজের জামাতে ইকামত না দিলে কি নামাজ শুদ্ধ হবে?ভুল করে বা অন্য কোনো কারণে ইকামত ছাড়া জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করলে সুন্নতের খেলাফ ও মাকরুহ হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। পুনরায় ওই নামাজ আদায় করতে হবে না।
ইকামতের সময় মুক্তাদিদের করণীয়নামাজের ইকামত শুরু হলে মুক্তাদিদের করণীয় হলো দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতে থাকা যেন ইকামত শেষ হতে হতে জামাতের কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হলে ইমাম নামাজ শুরু করতে পারেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, বেলাল (রা.) আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসতে দেখে ইকামত শুরু করতেন। মুক্তাদিরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের জায়গায় পৌঁছার আগেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহিহ মুসলিম: ১/২২০)
ওএফএফ/এমএস
Advertisement