রাজশাহীতে সবজিতে স্বস্তি, মাছে অস্বস্তি

রাজশাহীতে ঈদের পরে কমেছে সবজির দাম। ক্রেতা সমাগম না থাকা এবং সবজি বেশি সরবরাহের কারণে দাম কমেছে। তবে বেড়েছে মাছের দাম।

শনিবার (১৪ জুন) মহানগরীর সাহেববাজার, সাগরপাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ঈদের আগের চেয়ে কেজি প্রতি সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০-৫০, করলা ৫০, গাজর (দেশি) ৬০, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০, প্রতি পিস লাউ ২০-৩০, টমেটো ১০০, চিচিঙ্গা ৪০, শসা ৫০, বরবটি ৪০, ঢেঁড়শ ৪০, জালি কুমড়া ৫০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০, পটল ৩০ এবং কাঁকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি আলু ২৫, দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০, রসুন ১৮০ ও দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে মাঝারি সাইজের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। আকারভেদে কাতলা ২০০-৪৫০, পাঙাস ২০০-৩০০, সিলভার কার্প ও তেলাপিয়া ২০০, কৈ ২২০, শিং ৫০০-৫৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, চিংড়ি ৭০০-৮০০, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী নাসরিন খাতুন বলেন, বাজারে এখন সবজির দাম কম। চাহিদামতো নিতে পারছি। তাই বেশি করেই সবজি কিনেছি।

আরেক ক্রেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কুরবানির মাংস খেয়ে আর ভালো লাগছে না। ভেবেছিলাম সবজির দাম বেশি হবে। তবে বাজারে এসে দেখি ঈদের আগের চেয়েও দাম কম। তাই বেশি করেই সবজি কিনেছি।

নিউ মার্কেট এলাকার সবজি বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। তবে বাজারে ক্রেতা সমাগম কম। কারণ এখনও অনেক মানুষ ছুটি কাটিয়ে আসেনি। এ সময় অনেক বিক্রি হতো। কিন্তু বেশি বিক্রি করতে পারিনি।

রাজশাহীর সাহবে বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদের কারণে পুকুরে অনেক চাষি মাছ চাষ ধরতে চায় না। সামান্য কিছু মাছ পেয়েছি। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খুব বেশি না কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়িছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এএইচ/জেআইএম