জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত বলেছেন, গত ১৫ বছর জঙ্গিবাদের নামে দেশে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে গোটা জাতিকে ইসলামোফোবিয়া এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র: নোয়াখালীর জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাফে সালমান রিফাত বলেন, ‘শেখ হাসিনা ধর্মবিদ্বেষ ছড়াতে হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালাতেন, জঙ্গিবাদের নামে এদেশের আলেম-ওলামার ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছেন। একমাত্র আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় তারা এ ট্রাম্পকার্ড খেলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে এখন আমাদের উচিত ধর্মীয় বিদ্বেষের জিঞ্জির থেকে বের হয়ে প্রকৃত মূল্যবোধে বিশ্বাস এবং যার যার ধর্ম পালনে প্রত্যেকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’
Advertisement
জুলাই ঘোষণাপত্র চব্বিশের আগস্টেই হওয়ার দরকার ছিল উল্লেখ করে রিফাত বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের এত মাস পার হলেও আমরা এখন পর্যন্ত সেই ঘোষণাপত্র পাইনি। বাহাত্তরের পর পঁচাত্তরে আরেকটা মুক্তি এলেও শুধু ঐক্যবদ্ধতার অভাবে আমরা তার সুফল পাইনি। তবে সেটার প্রতিফলন ঘটেছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন এদেশের মানুষের মুক্তি না মিলবে, ততদিন আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো। বাংলাদেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশি দেশপ্রেমকে আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।’
জনগণকে রাষ্ট্র কাঠামোর প্রকৃত ক্ষমতাবান উল্লেখ করে রিফাত আরও বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গত ১৫ বছর তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনকে ধ্বংস করেছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। সেই গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করে আমাদেরকে ফ্যাসিবাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
স্থানীয় আপ বাংলাদেশের আয়োজনে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম, নোয়াখালী কারামতিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের জেলা সভাপতি ডা. সোহরাব হোসেন ফারুকী, আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য বখতিয়ার মুজাহিদ সিয়াম, সাজ্জাদ সাব্বির প্রমুখ।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম