জাতীয়

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে রেল মন্ত্রণালয়ের শোভাযাত্রা

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে রেল মন্ত্রণালয়ের শোভাযাত্রা

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে শুরু হয়ে স্টেশনের বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করে। শোভাযাত্রা শেষে ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন তামাক সেবনের কুফল, এর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

১৯৮৭ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’।

Advertisement

২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ধরে তামাক সেবনের সব প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দিবসটি প্রচলিত হয়। এছাড়া দিবসটির উদ্দেশ্য তামাক ব্যবহারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যা বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত।

দেশের বিভিন্ন সরকারি, স্বেচ্ছাসেবী ও বেসরকারি সংগঠনের পাশাপাশি রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে।

ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ার নিমিত্ত রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০২১ সাল থেকে ৩০টি স্টেশনে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ও ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের আর্থিক সহায়তায় ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ (আইএমবিআরটিএফপি)’ শীর্ষক প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নসহ রেলওয়ের নিজস্ব আইন ও বিধি-বিধান অনুযায়ী তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রাটি আয়োজন করা হয়।

শোভাযাত্রায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এনএস/এমএএইচ/জেআইএম