দেশজুড়ে

টাঙ্গাইলে বিক্রির জন্য প্রস্তুত চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজারের বেশি পশু

টাঙ্গাইলে বিক্রির জন্য প্রস্তুত চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজারের বেশি পশু

টাঙ্গাইলে এবার চাহিদার চেয়ে ২৯ হাজার ৪৪৪টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ১২ উপজেলায় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৯৯০টি গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা।

Advertisement

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ২৬ হাজার ৩৩টি খামার রয়েছে। এসব খামারে এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯টি গরু, এক লাখ ২২ হাজার ৩৮২টি ছাগল, ৯ হাজার ১১৯টি ভেড়া এবং ৪২০টি মহিষ রয়েছে।

খামারিরা বলেন, আগের চেয়ে পশুর খাদ্যের দাম অনেক বেশি। পশু পালন কষ্টসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে আমাদের লাভ কম হচ্ছে। টাঙ্গাইলে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল রয়েছে। বাইরে থেকে পশু আনতে হবে না। আমরা গরু-ছাগল-ভেড়া অন্য জেলায় পাঠাতে পারবো। তবে খামারি গৃহস্থরা তাদের পশু ঠিক মতো বাজারজাত করতে না পারেন তাহলে লোকসান হবে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি এলাকার খামারি দেওয়ান সুমন জাগো নিউজকে বলেন, কর্মচারী, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তারপরেও আমরা কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গরু লালন পালন করেছি। প্রাকৃতিকভাবে খড় ও ঘাস খাওয়াচ্ছি। তবে এবার আমরা ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। যদি ভারত ও বার্মা থেকে গরু প্রবেশ করে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ২৬টি গরু লালনপালন করেছি। আশা করছি সব ঠিক থাকলে ভালো দাম পাবো।

মো. লাভলু মিয়া নামের আরেক খামারি জাগো নিউজকে বলেন, গরুর দাম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। প্রতিটি খড়ের আটির মূল্য ১২ টাকা। প্রতি বস্তায় ভূমি কিনতে হচ্ছে ২২০০ টাকায়। কাঁচা ঘাসেও দাম বেশি। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে কোরবানির আগে গরু প্রবেশ করলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

খামার কর্মচারী ওসমান গণি বলেন, কোরবানিকে কেন্দ্র করে গরুগুলো পালন করা হয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক গরু দেখাশুনা করছি। যখন যা লাগছে গরুকে দেওয়া হচ্ছে। গরুর মালিক আমাকে প্রতিমাসে ভালোই টাকা দিচ্ছে।

টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহীদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত গরুগুলোতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় বিক্রি করতে পারবে। ক্ষতিকারক কোনো ওষুধ যাতে ব্যবহার না করে সে জন্য প্রতিটি উপজেলার খামারিদের সচেতন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল নোমান/আরএইচ/জেআইএম