সম্প্রতি স্ত্রী অপূর্বার সঙ্গে দশম বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করার পর বর্ণবাদী ও অভিবাসনবিরোধী মন্তব্যে জর্জরিত হয়েছেন আমেরিকান রাজনীতিবিদ ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী। এমনকি, পোস্টের নিচে অনেকেই লেখেন- ‘ভারতে ফিরে যাও’, ‘তোমাদের দেশে কি পাহাড় নেই?’ তাছাড়া তাদের গায়ের রঙ নিয়েও কটাক্ষ করেন অনেকে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিবাহবার্ষিকীর পোস্টে রামাস্বামী লেখেন, তিনি ২০১১ সালে অপূর্বার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, যখন তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই প্রথম দেখাতেই তারা রকি পর্বতমালায় ফ্ল্যাটটপ মাউন্টেন হাইকিংয়ে যান। সেসময় তুষারঝড় শুরু হলেও তিনি চূড়া পর্যন্ত যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অপূর্বা তার হাত ধরে বলেন, আমাদের সামনে একটা জীবন পড়ে আছে, আবার আসা যাবে। ১০ম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে ১৪ বছর পর দুই সন্তানকে নিয়ে তারা আবার সেই পাহাড়ে যান।
এই আবেগঘন গল্প ও ছবি প্রকাশের পরপরই একাধিক ব্যবহারকারী তাকে ও তার স্ত্রীকে ‘ভারতে ফিরে যাওয়ার’ আহ্বান জানান। কেউ লিখেছেন, ভারতেও তো পাহাড় আছে, হাইকিং করতে সেখানেই যান। অন্য একজন লেখেন, আপনাদের দুজনকে ৩-৪ শেড উজ্জ্বল লাগছে। চামড়া ব্লিচ করিয়েছেন নাকি?
এই ধরনের মন্তব্য আবারও সামনে নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বৈষম্য ও এইচ-১বি ভিসা ঘিরে বিতর্ককে।
Advertisement
উল্লেখ্য, রামাস্বামী নিজেই অতীতে এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন। তবে অনেকেই অভিযোগ করছেন, তিনি নিজে ও তার পরিবার এই ভিসা ব্যবস্থার সুবিধাভোগী। এই দ্বৈত অবস্থান ঘিরেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
বিবেক রামাস্বামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীও হতে চেয়েছিলেন। সেই উপলক্ষে প্রার্থিতা প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আইওয়া ককাসে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক।
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পায়। কট্টর ডানপন্থিরা দাবি করে, এই ভিসাধারীরা ‘মার্কিন নাগরিকদের চাকরি কেড়ে নিচ্ছেন ও তারা পশ্চিমা সভ্যতার জন্য হুমকি। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এইচ-১বি কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে এগিয়ে রাখতে মেধাবী মানুষ দরকার।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
এসএএইচ