১৯৯২ সাল। অ্যানহেল ডি মারিয়ার বয়স তখন মাত্র ৪ বছর। অর্থাৎ ভালোমতো হাঁটতে শিখেছেন মাত্র কিছুদিন হলো। ওই বয়সেই তিনি যুক্ত হলেন নিজের জন্মস্থান আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের স্থানীয় ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল- এ। এরপর ক্লাবটির ইয়ুথ টিমে খেলেছেন ২০০৫ সাল পর্যন্ত।
Advertisement
পরে ডি মারিয়াকে সিনিয়র দলে নেয় রোজারিও সেন্ট্রাল। ক্লাবটির সিনিয়র টিমে ২ বছর খেলার পর অর্থাৎ ২০০৭ সালে তিনি পাড়ি জমান ইউরোপে। এরপর ১৮ বছর ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব দাপিয়ে বেড়িয়ে অবশেষে সেই নিজের পুরোনো ডেরায় ফিরে গিয়েছেন ডি মারিয়া।
আর্জেন্টাইন প্রিমেরা ডিভিশনের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডি মারিয়ার ফেরার বিষয়টি ঘোষণা করেছে।
ক্লাবটি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওর সঙ্গে লিখেছে, ‘আমাদের ইতিহাসে আরও অনেক কিছু লেখা বাকি। বাড়িতে স্বাগতম।’
Advertisement
ইউরোপে ডি মারিয়ার প্রথম ক্লাব ছিল বেনফিকা। আবার পর্তুগালের এই ক্লাব থেকে অবসর নিয়েই ইউরোপ যাত্রা শেষ করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মাঝে তিনি খেলেছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ, ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবং ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বেনফিকায় ফেরেন।
গত গ্রীষ্মেই ডি মারিয়া রোসারিও সেন্ট্রালে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে ওই অঞ্চলে মাদক চোরাচালান ও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের জন্য হুমকি মনে করে সিদ্ধান্ত বদলান।
ডি মারিয়া ইউরোপে মোট ৩০টি ট্রফি জিতেছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন ৬টি শিরোপা। এর মধ্যে রয়েছে দুটি কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ সালের অলিম্পিক স্বর্ণপদক।
এই উইঙ্গার আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকার অংশগ্রহণ শেষে রোসারিও সেন্ট্রালে যোগ দেবেন। ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকা গ্রুপ 'সি'-তে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, বোকা জুনিয়র্স এবং অকল্যান্ড সিটির সঙ্গে।
Advertisement
৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া গত বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন।
এমএইচ/এমএস