আইন-আদালত

মডেল মেঘনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছালো

মডেল মেঘনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছালো

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলম ও তার সহযোগী দেওয়ান সমিরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত নতুন এদিন ধার্য করেছেন। আদালতের ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল বাশার এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। এজন্য কারাগারে আটক সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে জামিনে থাকা আসামি মেঘনা অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির হননি। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।

Advertisement

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ার সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে সুকৌশলে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।

দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামক একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মর্মে জানা যায়। এছাড়া এর আগে তার মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, স্মার্ট মেয়েদের তার প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা ছিল তার উদ্দেশ্য।

এমআইএন/এমআরএম/জিকেএস

Advertisement