আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮টি পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ জানান পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদে যারা বাড়ি যাবেন, তারা ঈদের আগে ও পরে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। এতে ট্রেন, বাস, লঞ্চ ও ফেরিঘাটের শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানো সহজ হবে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারের ছাদে এবং ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। হাইওয়েতে নসিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি যানবাহনে চলাচল পরিহার করুন।
এতে আরও বলা হয়, চালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দেবেন না। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালক যাতে গাড়ি না চালায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান শনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযান মালিকরা নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।
Advertisement
হাইওয়েতে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
তাদের বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বলা হয়, যাত্রাপথে অপরিচিত কারো সঙ্গে কোনো যানবাহনে শেয়ারে চড়বেন না।যাত্রাপথে বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চঘাটে অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো খাবার নেবেন না। হকার বা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কোমল পানীয়, ডাব, শরবত বা অন্য কোনো খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
যাত্রাপথে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউকে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি বা প্রতারক চক্রের সদস্য সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিন বা ৯৯৯ এ কল করুন। আপনার আশপাশের যাত্রীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন। কেউ কোনো বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করুন; কাউকে সন্দেহ হলে নিকটস্থ পুলিশকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করুন।
দেশবাসীর প্রতি দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দফতর ট্রাক, লঞ্চ, নৌকায় বা ট্রলারে অতিরিক্ত পশু বোঝাই না করার অনুরোধ জানায়। এতে মহাসড়কের ওপর এবং রেললাইনের পাশে কোরবানির পশুর হাট না বসাতে বলা হয়।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশুর হাটে নির্ধারিত হারে হাসিল পরিশোধ করুন। কেউ অতিরিক্ত হাসিল অথবা চাঁদা দাবি করলে নিকটস্থ পুলিশকে জানান। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পশুর চামড়াবাহী যানবাহন সীমান্তমুখী হলে সেগুলো পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরণের সন্দেহজনক ক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানান বা ৯৯৯ এ কল করুন। পশুবাহী পরিবহনের সামনে পশুর গন্তব্যস্থান/পশুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানিয়ে রাখুন।
অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত সতর্কতা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশুর হাটে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করুন। বড় অঙ্কের নগদ অর্থ বহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা (মানি এস্কর্ট) নিন। জাল টাকার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। কোনো নোট জাল সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ পুলিশকে জানান। বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, নগদ ইত্যাদিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। কোনো অবস্থাতেই আপনার গোপন পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। শপিংমল/মার্কেটের নিরাপত্তায় সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।
নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের নাম্বার দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুম (০১৩২০০০১৩০০, ০১৩২০০০১২৯৯), হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৮২৫৯৮), রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৭৭৫৯৮), নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স (০১৩২০১৬৯৫৯৮), র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) (০১৭৭৭৭২০০২৯) এর নম্বরগুলোতে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কেআর/এএমএ/জিকেএস