যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, তেল ও গ্যাস আরও বেশি পরিমাণে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এবং এই প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ব্যবহার করা হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে ‘নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া’ বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিটি বাণিজ্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চান এ কথা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য কেনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকে একই ধরনেরর পণ্য আমদানির প্রবাহ সরিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন>
Advertisement
উদাহরণ হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এখন প্রচুর তুলা কিনি মধ্য এশিয়া থেকে। ভারতসহ আরও অনেক দেশ থেকে কিনি। এখন ভাবছি কেন আমরা এগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনবেচা না? তাহলে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটা কমে যাবে।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, আর আমদানি করেছে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের। এই আমদানির মধ্যে ৩৬১ মিলিয়ন ডলারের তুলা ছিল।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বছরে ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের কাঁচা তুলা আমদানি করে, যার বড় অংশ আসে উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে। মূলত তুলা দেশের মোট আমদানির ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদকরা এখন আমাদের ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে। তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কিছুটা ‘রাজনৈতিক সংযোগও’ প্রদান করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
বাংলাদেশ বর্তমানে অধিকাংশ জ্বালানি তেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করলেও, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও এ পণ্য কেনা সম্ভব বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তেল মূলত আমরা মধ্যপ্রাচ্য থেকেই নিয়ে থাকি, তবে চাইলে তা যুক্তরাষ্ট্র থেকেও নেওয়া যেতে পারে।
বাণিজ্য আলোচনা কবে শুরু হবে এবং এতে কত শতাংশ শুল্ক কমতে পারে তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে। আমরা এই পরিস্থিতিকে কোনো হুমকি হিসেবে দেখছি না, বরং এটিকে আমরা একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি বলেও জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।
এমএসএম