দেশজুড়ে

খালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক

খালেদা জিয়াকে ৩৫ মণ ওজনের ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান কৃষক

ঈদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এক হাজার ৪০০ কেজি ওজনের গরু উপহার দিতে চান সোহাগ মৃধা নামে এক কৃষক। নিজের সারাজীবনের সঞ্চয় ও শ্রম দিয়ে গরুটি লালনপালন করেছেন তিনি।

Advertisement

সোহাগ মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির নাম দিয়েছেন ‘কালো মানিক’। কালো রঙের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি দেখতে আশপাশের মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন।

সোহাগ মৃধা জানান, ‘২০১৮ সালের শেষের দিকে চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনি। অল্প সময়ের মধ্যে গাভিটি একটি বাছুর প্রসব করে। পরে গাভিটি বিক্রি করে বাছুরটিকে রেখে দেই। সেই বাছুরই এ কালো মানিক।’

তিনি বলেন, ‘বাবা বিএনপির রাজনীতি করতেন। আমি ছোটবেলা থেকেই বিএনপিকে ভালোবাসি। আমি ভাইরাল হতে চাই না, লাভের আশাও নেই। আবেগ থেকে প্রিয় নেত্রীকে আমার প্রিয় কালো মানিককে উপহার দিতে চাই।’

Advertisement

বেগম খালেদা জিয়া উপহারটি গ্রহণ করবেন কি না জানেন না সোহাগ মৃধা। তবু প্রস্তুতির কোনো কমতি রাখছেন না তিনি। ইতোমধ্যে ৬০ হাজার টাকায় দুটি মিনি ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে গরুটি পরিবহনের জন্য। সাজানো হয়েছে বাদক দল। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ গেঞ্জি। সঙ্গে থাকবে ব্যানার ও ধানের শীষ প্রতীক।

সোহাগের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কালো মানিককে একনজর দেখতে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ। মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও করা—সবই চলছে। শিশুরা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে কালো মানিকের দিকে।

সোহাগের মা হাজেরা বেগম বলেন, ‘ছেলের শখ অনেক দিন ধরেই। ছোটবেলা থেকেই বিএনপি ভালোবাসে। আমাদের সংসারে অভাব আছে, স্বামী নেই, সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে দিন চলে যায়। কিন্তু এ গরুটি সে এতদিন ধরে যত্নে রেখেছে।’

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী। গরুটি নেত্রীকে উপহার দেওয়ার কথা যখন বলেছিলেন প্রথমে বিশ্বাসই করিনি। কিন্তু ও নাছোড়বান্দা। এখন দেখি, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই রওনা দেবে।’

Advertisement

তিনি আরও জানান, ‘গরুটি গায়ে ধানের শীষ আঁকা ব্যানার থাকবে এবং নেত্রীর নামে শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে ঢাকা পৌঁছানো হবে। যাত্রার সময় থাকবে প্রচার মাইকও।

আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/জিকেএস