বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে রিপনুলের গ্রেফতারের খবরে তার নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর তাঁতীবাজার থেকে রিপনুল হাসানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় আটটি মামলা রয়েছে।
রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের পরপরই বাজুস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকাসহ সরাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রিপনুলকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায় সোনা ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন হত্যা মামলার আসামি রিপনুল গ্রেফতার, চুয়াডাঙ্গায় মিষ্টি বিতরণ অনির্দিষ্টকালের জন্য সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা বাজুসেরএদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাজুস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার তথ্য দেওয়া হয়। বাজুস জানিয়েছে, রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কর্মসূচি পালন করছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বিভিন্ন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার তথ্যও জানিয়েছে বাজুস।
এদিকে রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের পরপরই বুধবার রাতে তার নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে স্থানীয়রা মিষ্টি বিতরণ করেন। তাদের অভিযোগ, রিপন মাদক, জুয়া ও অস্ত্র কারবারেও জড়িত ছিলেন। অনেক তরুণ তার কারণে বিপথে গেছে।
Advertisement
রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। সে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় রিপনুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
এমএএস/বিএ/জিকেএস