রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে চেলসি।
Advertisement
বুধবার পোল্যান্ডের তার্ককিনস্কি অ্যারেনায় শুরুতে পিছিয়ে পড়া চেলসিকে বড় উপহার দেওয়ার কৃতিত্ব কোল পালমারের। দুর্দান্ত ও সৃজনশীল পারফর্ম করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
বেতিস ম্যাচের শুরুতে কিছুটা নার্ভাস থাকলেও নবম মিনিটে আবদে এজালজুলি বক্সের প্রান্ত থেকে জোরালো নিচু শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাব বেতিস।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডে আধিপত্য বিস্তার করে ধারাবাহিক আক্রমণে বেতিসকে চাপে ফেলে দেয় চেলসি। ২৩ বছর বয়সী পালমার পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন এবং এই পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
Advertisement
৬৫ মিনিটে পালমারের ক্রসে ফার্নান্দেজ হেড করে চেলসিকে সমতায় ফেরান (১-১)। পাঁচ মিনিট পর ড্রিবল করে ডান প্রান্ত থেকে দারুণভাবে বল বাড়ান পালমার, যা বুক দিয়ে জালে ঠেলে দেন নিকোলাস জ্যাকসন।
৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জেডন সানচো ব্যবধান ৩-১ করেন। ৯১ মিনিটে মইসেস কাইসেডো গোল করে ম্যাচের স্কোরলাইন ৪-১ করলে ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে যায় বেতিসের। এতে চেলসির সপ্তম ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়ের পথ চূড়ান্ত করে।
এই জয়ের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর একচেটিয়া আধিপত্যের ইতি টানে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি। ২০০১-০২ মৌসুম থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান পুরুষদের প্রতিযোগিতায় স্প্যানিশ ক্লাবগুলো সবশেষ ২৩টি ফাইনাল জিতেছিল।
তবে স্প্যানিশ ক্লাব হলেও বেতিস এখনো ইউরোপিয়ান শিরোপা জিততে পারেনি। এবার তারা ব্যর্থ হলো।
Advertisement
শিরোপার মাধ্যমে চেলসির গৌরবময় এক মৌসুমের সমাপ্তি হলো। নতুন কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে প্রথম মৌসুমেই শিরোপা জিতলো ব্লুজরা। এর আগে গেল রোববার প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি।
ম্যাচ শুরুর আগে পোল্যান্ডের শহরে সমর্থকদের মধ্যে গোলযোগ দেখা দেয়। এর জেরে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এমএইচ/এএসএম