পাহাড় কেটে ভরাট হচ্ছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি

বান্দরবানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি ভরাটের জন্য কাটা হচ্ছে পাহাড়। সদর উপজেলার বালাঘাটা, বাকিছড়া, থোয়াইংগ্যা পাড়া এলাকার অন্তত পাঁচটি পাহাড় থেকে কয়েক লাখ ঘনফুট মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, থোয়াইংগ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার কাঁচা রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে স্কেভেটরচালক দিয়ে বিদ্যালয়ের পাশের পাহাড় কেটে ট্রাকে করে মাটি সরানো হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বালাঘাটা, বাকিছড়া, থোয়াইংগ্যা পাড়া এলাকায় মো. নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পাহাড় কাটা হচ্ছে। এরমধ্যে পাঁচটি পাহাড়ের অন্তত কয়েক লাখ ঘনফুট মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব মাটি দিয়ে ভরাট হচ্ছে বালাঘাটা স্বর্ণ মন্দির সংলগ্ন নির্মাণাধীন ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি।

থোয়াইংগ্যা পাড়ার বাসিন্দা আপ্রু মারমা, কথিত বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে থোয়াইংগ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পাহাড়, জনৈক বদুরুনেছা বেগমের পাহাড়, বাকিছড়া এলাকার খায়রুন পাহাড়, লেমুঝিড়ি ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের পাশের মোজাফরের পাহাড় কেটেছেন।

থোয়াইংগ্যা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন কান্তি দেবনাথ বলেন, ‘সারাদিন পাহাড় কাটা হচ্ছে। ভারী মাটিবোঝাই ট্রাক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চলাচল করছে। মেশিনের বিকট শব্দ শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ট্রাক ড্রাইভার মামুন জানান, ‘দুদিন ধরে ট্রাকে করে মাটি পরিবহন করছি। দিনে প্রতি ট্রাক দিয়ে ৪০-৫০টি ট্রিপে মাটি সরানো হচ্ছে। বর্তমানে পাঁচটি ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করা হচ্ছে।’

স্কেভেটরচালক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বালাঘাটার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের হয়ে কাজ করছি। নাজিম প্রতি ট্রাক মাটি কাটার জন্য তাকে ১৩০ টাকা দিচ্ছেন।’

এ বিষয়ে বান্দরবান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন, ‘পাহাড়কাটার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জমি ভরাটে স্থানীয়দের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছি। পাহাড় কাটায় যুক্ত নই।’

বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘থোয়াইংগ্যা পাড়া এলাকায় পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়ন চক্রবর্তী/আরএইচ/এএসএম