নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বনানী থানা ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (২৮ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে মানহানিকর বক্তব্য ইউটিউবসহ সব সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন টাকা থাকলে আমি পত্রিকা-টিভি খুলতাম: সুব্রত বাইনমামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্যের অপপ্রচারে লিপ্ত হন। গত ২৫ মে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনে ‘কায়সার কামালকে থামাবে কে, আর কত কেলেঙ্কারি‘, ‘কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ’ শিরোনামে অপপ্রচার ছড়ানো হয়। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সম্পর্কে মুদ্রিত ও প্রকাশিত এমন বিবৃতি ইচ্ছাকৃত, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য সৃজিত তথ্য প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়েছে। আসামি মবিনা জান্নাত কর্তৃক দায়েরকৃত বিচারাধীন একটি মামলায় আসামি জামিন পেয়েছেন। সেই মামলায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি শুনানিতে অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও এ মামলার আসামি মবিনা জান্নাত সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন, মানহানিকর বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি ও বিধি লঙ্ঘন করে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বক্তব্য শ্রবণ না করে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে একপাক্ষিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া, হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতি প্রচার এবং প্রকাশ করে। এতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তথা গোটা আইনজীবী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে ভুক্তভোগীকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
Advertisement
এমআইএন/কেএসআর/এএসএম