উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ না থাকা ৪৪ কোম্পানিকে এই ন্যূনতম শেয়ার ধারণে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ ২২ কোম্পানিকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিত ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানি এবং ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ ২২ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার (২৮ মে) পৃথক বৈঠক করে এ নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার বিধান রয়েছে। তবে কিছু কোম্পানিতে তার ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসির জারি করা নোফিকেশনের বিধান পরিপালন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিএসইসি ৪৪ কোম্পানিকে এই বিধান নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে। এ ব্যর্থতার জন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
Advertisement
এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণে ব্যর্থ হওয়া ২২ কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থ হয়েছে এমন ২২ কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন বলে জানান বিএসইসির মুখপাত্র।
মো. আবুল কালাম আরও বলেন, সভায় ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণে ব্যর্থতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধানে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতার জন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করতে যাচ্ছে বিএসইসি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেড গ্রুপের কোম্পানি এবং যেসব কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে, সেসব কোম্পানিতে ‘করপোরেট গভার্নেন্স কোড ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
এমএএস/কেএসআর/এমএস
Advertisement