আইন-আদালত

সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন

সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন

উচ্চ আদালত সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাস ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ উল্লেখ করে সারজিস আলমকে গত শনিবার (২৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন নোটিশ পাঠান।

Advertisement

আরও পড়ুন মব করে রায় নেওয়া গেলে হাইকোর্টের দরকার কি, সারজিসের প্রশ্ন

নোটিশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে সারজিস আলমকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি নোটিশ গ্রহণের দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছেও তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।

কিন্তু নোটিশের বিষেয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি জানিয়ে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আজ হাইকোর্টে করা আবেদনটি আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।’

নোটিশের ভাষ্য, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়-ডিক্রি ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ। শুনানি শেষে গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাইকোর্ট ২২ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

২২ মে রায় ঘোষণার পর আপনি (সারজিস আলম) ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ১১টা ৪৯ মিনিটের দিকে ওই রায় নিয়ে একটি প্রতিক্রিয়া দেন। এই স্ট্যাটাস গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসে উল্লিখিত মন্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। যা দেশের উচ্চ আদালত, যথা সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি মর্যাদাহানিকর ও আদালত অবমাননাকর।

Advertisement

এফএইচ/বিএ/এএসএম