হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর (৬১) আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
এছাড়াও ছয়দিনের রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন- আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।
এদিন বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে তাদের আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। এরপর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তখন কাঠগড়ার রডের সঙ্গে তার হাত হ্যান্ডকাফ দিয়ে বাধা ছিল।
এসময় তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের রমজান মাসের ২৬ তারিখ ভারত থেকে আমাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়। এরপর আমাকে আড়াই বছর আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। আয়নাঘরে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে ৫ আগস্ট রাত ৩টার দিকে আমাকে চোখ বেঁধে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
Advertisement
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকরা যেন তদন্ত করে সত্যিটা লেখেন। আমি যা সেটাই যেন লেখেন। সত্যি কথা লিখবেন। ৮৯ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে লিখছেন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু লিখবেন না। বোঝা উচিত কী লিখছেন এবং এর প্রভাব কী হতে পারে। আমার পরিবার আছে। ৬১ বছর বয়স হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এই আধুনিক যুগে যদি আমাকে চাঁদাবাজ বানান? এই আধুনিক যুগে যদি চাঁদাবাজ না ধরতে পারেন, তাহলে কী লাভ। তদন্ত করেন যে, কে আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলো। আপনারা নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক। দোয়া করি আপনাদের জন্য।
পরে এজলাসে বিচারক এলে কথা বলা বন্ধ করেন সুব্রত বাইন। এরপর শুনানি শেষে হাতিরঝিল থানার অস্ত্র মামলায় তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এমআইএন/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement