জাতীয়

নিয়ম ভেঙে ১১৪ হজযাত্রীকে অন্যদেশ থেকে সৌদি পাঠাতে চায় ৮ এজেন্সি

নিয়ম ভেঙে ১১৪ হজযাত্রীকে অন্যদেশ থেকে সৌদি পাঠাতে চায় ৮ এজেন্সি

১১৪ জন হজযাত্রীকে অন্যদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে চায় আটটি এজেন্সি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া বাংলাদেশের হজ চুক্তির লঙ্ঘন জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ থেকে এ হজযাত্রীদের পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২৫ মে) এ নির্দেশনা দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মালিক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন, ২০২৫' অনুসারে হজযাত্রীদের কাছ থেকে বিমানের টিকেট বাবদ এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষিত আছে। চিঠির মাধ্যমে হজ এজেন্সিগুলোকে পে-অর্ডার করে হজযাত্রীদের জন্য এয়ারলাইন্স থেকে টিকেট সংগ্রহের অনুরোধ করা হয়।

গত ২৪ মে জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সভায় আটটি এজেন্সির ১৪৪ জন হজযাত্রী বাংলাদেশে না এসে ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন এক হাজারের কম হজযাত্রী থাকলে সরাসরি হজে পাঠাতে পারবে না এজেন্সি  হজ এজেন্সিগুলোকে সৌদির যে চার নির্দেশনা মানতে হবে  হজে ব্যয়ের প্রতিদান সাতশ গুণ 

হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মোতালেব হজ সার্ভিসেস, শিকদার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সি, সালাম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, সালামত হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, হাসনাইন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, মক্কা ট্রাভেলস, আমদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও আফনান এভিয়েশন।

চিঠিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের কোটার সব হজযাত্রীকে এদেশ থেকে সৌদি আরবে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদেশের কোটার হজযাত্রীদের অন্য কোন দেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠানো বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে সম্পাদিত হজ চুক্তির পরিপন্থি। এমন হজচুক্তি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের ফলে হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায়, উল্লিখিত এজেন্সিকে তাদের নিবন্ধিত সব হজযাত্রীকে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, অন্যথায় এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমএম/এসএনআর/জিকেএস

Advertisement