‘বাদশা’র ওজন ৩৫ মণ, কিনতে লাগবে ১৫ লাখ টাকা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। এসব হাটে উঠছে নানা আকৃতির পশু। নজর কাড়তে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নাম।

ব্যতিক্রম নয় কিশোরগঞ্জও। ‘বাদশা’ নামের বিশালাকৃতির একটি ষাঁড়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা! ৩৫ মণ ওজনের ষাঁড়টি প্রস্তুত করা হয়েছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বয়লা এলাকার সানজিদ এগ্রো ফার্মে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সানজিদ এগ্রো ফার্মের মালিক সানজিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পরম যত্নে গরুটি লালন-পালন করে আসছেন। বিশাল আকৃতির এই দেশি ষাঁড়ের নাম তিনি দিয়েছেন ‘বাদশা’। বাদশার উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি, দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, আর বুকের বেড় ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। দৈহিক গঠন ও সৌন্দর্যে সে যে কারও নজর কাড়বে সহজেই। তাকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় উন্নতমানের খৈল, ভুট্টা, গম, ভুসি, লাউ, আলু, কলা ও তাজা ঘাস। প্রতিদিন বাদশার পেছনে খাবার বাবদ ব্যয় হয় প্রায় ৮০০ টাকা।

বাদশার মালিক সানজিদ হোসেন বলেন, চেহারা, চলাফেরা আর খাওয়ার ঢং দেখে মনে হয়েছে, সে যেন সত্যিই এক বাদশা! তাই তার নাম রেখেছি ‘বাদশা’। বাদশাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে গোসল করানো হয়। তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে উন্নতমানের খৈল, ভুট্টা, গম, ভুসি, লাউ, কলা, আলু ও তাজা ঘাস। খাবারের জন্য দৈনিক ব্যয় প্রায় ৮০০ টাকা। গরমে যেন কষ্ট না হয়, এজন্য বাদশার গোয়ালঘরের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে দুটি ফ্যান।

বাদশার বিশাল আকৃতি ও সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় করছেন। অনেকে শুধু এক ঝলক দেখার জন্য আসেন, কেউ কেউ ছবি তোলেন। আবার অনেকে করেন ভিডিও।

বর্তমানে বাদশার ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি (৩৫ মণ)। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ঈদের আগে কিশোরগঞ্জের ইচ্ছাগঞ্জ গরুর হাটে বাদশাকে তোলা হবে।

বাদশার নাম শুনে পাশের এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন শাওন হাসান। তিনি বলেন, ‘অনেক গরু দেখেছি, কিন্তু বাদশার মতো এত বিশাল গরু জীবনে দেখিনি। সত্যিই গরুটি অনেক সুন্দর।’

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বাদশাকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। ফলে গরুটি যেমন সুস্থ ও সবল, তেমনি মানবদেহের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ। হরমোন বা কৃত্রিম কোনো উপাদান ব্যবহার না করেই এত বড় গরু তৈরি করা নিঃসন্দেহে একটি দৃষ্টান্ত।

এসকে রাসেল/এসআর/জিকেএস