ভূমিসেবায় অনলাইন সংস্করণ যুক্ত হওয়ায় দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
Advertisement
রোববার (২৫ মে) রাজধানীর ভূমি ভবনের সেমিনার কক্ষে ভূমি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, সংস্কার ও অর্জন বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর ও খতিয়ান সেবা শতভাগ অনলাইন করাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় পেমেন্ট ক্যাশলেস করা হয়েছে। বিদ্যমান প্রযুক্তিনির্ভর অটোমেটেড ভূমিসেবাসমূহ সেবাগ্রহীতাদের কাছে জনপ্রিয় করাসহ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় তথা রাজস্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনের এই মেলায় ১৯ স্টলে ভূমি সংক্রান্ত সব সেবা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন ঐকমত্য না হওয়া বিষয়গুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে: আলী রীয়াজ আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক: গয়েশ্বরঅনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ১৫ বছর বলা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, অথচ সেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ না হয়ে হয়েছে কিছু ডিজিটাল আইল্যান্ড। আইল্যান্ডগুলোর মধ্যে ইন্টার কানেক্টিভিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সেবাসমূহ ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে বেশ এগিয়ে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস এখন একটি জায়গায় পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গতি পাবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ভূমি জরিপ কাজ জিপিএস ও জিও ফেন্সিংয়ে হয়ে যাবে এবং জমির মালিক চাইলেই জরিপকাজ গুগল আর্থে দেখতে পারবেন। পরবর্তী ধাপে এই জরিপের সঙ্গে ভূমির মালিকানার ম্যাপিং, কোনো মামলা আছে কি না, থাকলে মামলার বর্তমান অবস্থা ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য সংযুক্ত থাকবে। অর্থাৎ একটা সিঙ্গেল গেটওয়েতে বসে ভূমির ডিজিটাল ম্যাপের সঙ্গে তার মালিকানাসহ বর্তমান অবস্থা দেখা যাবে। এই কাজটি করতে পারলে সেটিই হবে প্রকৃত ডিজিটালাইজেশন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এ জে এম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম। আলোচনার শুরুতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর উপস্থাপনা করেন।
এমডিএইচআর/কেএসআর/জিকেএস
Advertisement