ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি গতি আনতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব কাজ ডিজিটাল ট্রান্সমিশনে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। রোববার (২৫ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে ভূমি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছিল আসলেই তা ডিজিটাল হয়নি। যা হয়েছে তা ডিজিটাল আইল্যান্ড। আমরা যেটা করছি এই ডিজিটাল আইল্যান্ডগুলোতে আরও ৩টা কানেক্টিভিটি করছি। এক হচ্ছে- ভূমি মন্ত্রণালয় আউটস্ট্যান্ডিং কাজটি করছে তা হচ্ছে ল্যান্ড সিঙ্গেল গেটওয়ে। আগে যে ডিজিটাল সেবাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে তৈরি করেছে সেই সেবাগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসছি। যাতে করে নাগরিক সেবায় ৫৭ টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কয়েক ডজন করে সেবার জন্য কয়েক হাজার ওয়েবসাইটের নাম আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসছি।
নাগরিকদের সব সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে করার গুরুত্ব দিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, আমরা নাগরিক সেবা নামের একটি প্ল্যাটফর্ম করছি। এ প্ল্যাটফর্মে সব মন্ত্রণালয়ের সব সেবা পোস্ট করা যাবে। এর মাধ্যমে আমরা একটি প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চায়। এতে মন্ত্রণালয় কেমন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স পাবে- এবং কোন মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স কেমন গ্রাহকরা সত্যিকার অর্থেই কেমন সেবা পাচ্ছেন সেসব বিষয় মনিটরিং করা যাবে। এখানে আউটসোর্সিং ও সরকারি কর্মকর্তাদের র্যাকিং করা হবে পাশাপাশি কে কেমন সেবা দিচ্ছে সেগুলোও মনিটরিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সব সব ধরনের কাজগুলো ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের আওতায় নিয়ে আসবো। অর্থাৎ যেখানে ব্যক্তির আইডেন্টিটি নিশ্চিত করা হবে। এপিআই কল করে অন্য সফটওয়্যার সিস্টেম থেকে লগইন করে ব্যক্তির যখন এনআইডিটা শনাক্ত হয়ে যাবে তখন এপিআই কল করে যে সিস্টেমে দাখিল আছে, খতিয়ান আছে আমরা সেখান থেকে ডিজিটাল পোল করে নিয়ে আসবো। অর্থাৎ এই যে ছবি তুলে আপলোড করা এই সিস্টেম থেকে আমরা নাগরিকদের রক্ষা করব।
Advertisement
ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করে বিশেষ সহকারী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল ট্রান্সমিশনে মন্ত্রণালয়গুলো সবচেয়ে বেশি আন্তরিক তার মধ্যে একটি হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সেজন্য এই মন্ত্রণালয় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এমডিএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম