জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Advertisement
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
Advertisement
বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান (হাসান) এসব তথ্য জানান। এর আগে গত ১৮ মে হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা ছিল প্রতিহিংসামূলকমামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৭ মার্চ সাপ্তাহিক একটি পত্রিকায় ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ভুয়া মামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ‘দুদকের সাবেক সচিব মোখলেস’ কীভাবে এখনও জনপ্রশাসনের সচিব?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবাদটি বাদীর নজরে আসে।
সংবাদে বর্ণিত ঘটনায় ও অপরাধের ধারাবহিকতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতন্ত্র ধ্বংস করাসহ অগণিত লোকজন ভুক্তভোগী হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের উত্থান হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অসংখ্য মানুষ হত্যা, গুম ও মামলা হামলার শিকার হয়। বাদীও এ ঘটনাসমূহের একজন ভুক্তভোগী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবার সরাসরি ভুক্তভোগী।
আসামিরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে এই মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করার জন্য পরস্পর যোগসাজশে যে অপরাধমূলক পরিকল্পনা করা, মিটিং করা, ষড়যন্ত্র করাসহ যেসব অপরাধমূলক কাজ করেছে তা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
Advertisement
এমআইএন/ইএ/জিকেএস