রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারা বিষয়গুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
Advertisement
জাতীয় সনদ প্রতিষ্ঠা করাই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের আলোচনায় অনেক বিষয়ই ঐকমত্য তৈরি হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের আলোচনায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য গঠনে শুধু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের সঙ্গেও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ছাড়া সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই।
Advertisement
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয়ে ঐকমত্য যেমন হয়েছে, তেমনই অনেক বিষয়ে মতভিন্নতাও রয়েছে। যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
এসময় ঐক্য কমিশনের সদস্য হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা মানবাধিকার, নারী অধিকার, ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর একমত হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরির তাগিদ দিয়ে তারা দাবি করেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর তরুণ প্রজন্মের নারীরা প্রবল আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজনীতিতে আসতে চাইছেন।
আরও পড়ুন সংবিধান পুনর্লিখনে গণপরিষদ-আইনসভা নির্বাচন একই হতে হবে: হাসনাতঐকমত্যের বিষয়টি জাতীয় সনদের মাধ্যমে প্রতিফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন সেই জাতীয় সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথে ভূমিকা পালন করতে পারে।
Advertisement
সভায় সুশীল সমাজের পক্ষে বিচারপতি আব্দুল মতিন, মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মনীরুজ্জামান, ড. ওয়ারেসুল করিম, ড. মির্জা হাসান, ড. গীতি আরা নাসরিন, ড. সামিনা লুৎফা, সুলতানা রাজিয়া, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, ইলিরা দেওয়ান, আশরাফুন নাহার মিষ্টি এবং চৌধুরী সামিউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমওএস/এমকেআর/জিকেএস