আরও কয়েকশ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধের তিন বছরেরও বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিরল নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই উদ্যোগ। তবে শনিবার (২৪ মে) এই বন্দি বিনিময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া, যাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার দুই দেশই ৩০৭ জন করে সেনাসদস্যকে মুক্ত করেছে। এর আগের দিন ৩৯০ জন বন্দি (সেনা ও বেসামরিক নাগরিক) মুক্তি পেয়েছিল। পুরো সপ্তাহান্তজুড়ে চলতে থাকা এই বন্দি বিনিময় বর্তমান যুদ্ধ চলাকালীন সবচেয়ে বড় অদল-বদলের রূপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন>>
কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত ৩ শিগগির যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করবে রাশিয়া-ইউক্রেন: ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা কি সফল হবে?জেলেনস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, আমরা আশা করছি, আগামীকাল আরও বন্দি বিনিময় হবে।
Advertisement
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে, যদিও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ভয়াবহ রাতএর কয়েক ঘণ্টা আগেই কিয়েভে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি ইরানীয় শাহেদ ড্রোন দিয়ে রাতভর আক্রমণ চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৪৫টি ড্রোন মোকাবিলা করেছে—এর মধ্যে ১২৮টি ভূপাতিত ও ১১৭টি ইলেকট্রনিক যুদ্ধের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন একে রাজধানীর অন্যতম বৃহত্তম সমন্বিত হামলা বলে উল্লেখ করেছে। শহরের অন্তত ছয়টি এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। সোলোমিয়ানস্কি জেলায় দুটি অগ্নিকাণ্ড এবং ওবোলোন জেলায় একটি আবাসিক ভবনে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেখানে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এ সম্পর্কে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেন, এই হামলা প্রমাণ করে মস্কোর ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি।
Advertisement
সূত্র: এপি, ইউএনবিকেএএ/