কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমি দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কৃষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
Advertisement
উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের জোতভালুকা-নগরকয়া পানি প্রবাহ খালের পূর্বাশা ভালুকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের পাড় দিয়ে কয়েকটি গ্রামের শত শত বিঘা জমির ফসল নিয়ে চলাচল করেন কৃষকরা। এ চলার পথে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করেন রবিউল। এতে পথ সংকীর্ণ হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।
শনিবার (২৪ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জোতভালুকা-নগরকয়া পাউবো সেচ খালের পূর্বাশা ভালুকা এলাকায় ছোট কালভার্ট রয়েছে। কালভার্টের পাশে খালের পাড় দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি অংশ দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
Advertisement
এসময় আবুল হোসেনের ছেলে কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, পাউবোর কর্তারা লাল পতাকা টাঙিয়ে ঘর করতে নিষেধ করেছিলেন। তবুও সরকারি খালে রাস্তার জমি দখল করে ঘর করেছেন রবিউল। এতে কৃষকদের ফসল বোঝাই গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে।
পূর্বাশা ভালুকা মাঠে প্রায় তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, খালের পাড়ের রাস্তা দিয়ে মানুষ, জমি চাষাবাদের যন্ত্র ও ফসলাদি পরিবহনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু পথ সংকীর্ণ করে ঘর করায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে কৃষক রবিউলকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার স্ত্রী বলেন, খালের জমির অল্প একটু নিয়ে রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে। এতে জনগণের সমস্যা হওয়ার কথা না।
ঘরটি সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়া পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়ামিন হক।
Advertisement
তিনি বলেন, স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে ঘর করতে নিষেধ করে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছিল। শনিবার সকালে পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুতই জমি মেপে ঘরটি অপসারণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সরকারি জমি দখলের সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/জেআইএম