জাতীয়

পলায়নের অভিযোগে সিনিয়র সহকারী সচিব চাকরিচ্যুত

পলায়নের অভিযোগে সিনিয়র সহকারী সচিব চাকরিচ্যুত

লিয়েনে অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করতে গিয়েছিলেন সিনিয়র সহকারী সচিব সোনিয়া আফরিন। লিয়েন শেষে দেশে না ফেরায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিসিএস ২৪তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সোনিয়াকে চাকরিচ্যুত করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৪ মে) এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান এক্সপোর্ট গ্রেইন ইনোভেশন সেন্টারে গ্রেইন কোয়ালিটি টেকনিক্যাল অফিসার পদে চাকরি করতে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর লিয়েনের আবেদন করেন সোনিয়া। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার লিয়েন মঞ্জুর করে। এই সময় শেষে সোনিয়া কাজে যোগদান করবেন বলে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অঙ্গীকারনামা দাখিল করেন।

লিয়েনের মেয়াদ শেষে অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী কাজে যোগ না দিয়ে সোনিয়া আগের লিয়েনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লিয়েন বাড়াতে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর আবেদন করেন। তার এই আবেদন মঞ্জুর না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ৮ আগস্ট তাকে অবিলম্বে চাকরিতে যোগ দিতে চিঠি পাঠায় এবং ই-মেইল ও ফোনেও বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, লিয়েনের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে যোগদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সোনিয়া এখনো চাকরিতে যোগ দেননি। অনুমতিসহ দেশত্যাগ করার পর অনুমোদিত সময়ের অতিরিক্ত ৬০ দিনের বেশি অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করা ও কর্তব্যে চরম অবহেলা প্রদর্শন করায় সোনিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ বিভাগীয় মামলা হয়।

Advertisement

এরপর তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হলেও তিনি জবাব না দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর সোনিয়াকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

কিন্তু ওই নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন এ বিষয়ে একমত পোষণ করে এবং রাষ্ট্রপতিও বিষয়টি অনুমোদন করেন। ফলে সোনিয়াকে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম

Advertisement