অর্থনীতি

ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা, গ্রাহক তুলনামূলক কম

ছুটির দিনে ব্যাংক খোলা, গ্রাহক তুলনামূলক কম

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও আজ শনিবার (২৪ মে) খোলা রয়েছে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য কর্ম দিবসের মতোই স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের লেনদেন করতে পারছেন গ্রাহক। লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

Advertisement

এদিকে সকাল থেকে ব্যাংকগুলোয় লেনদেন শুরু হলেও অন্যান্য কার্যদিবসের মতো শাখাগুলোয় গ্রাহকের উপস্থিতি নেই। অধিকাংশ শাখার বেশিরভাগ কাউন্টার ফাঁকা দেখা গেছে। অনেক কাউন্টারের লোকসমাগম হলেও তা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সকালের দিকে গ্রাহক উপস্থিতি কম হলেও দুপুরের পর বাড়তে পারে। মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এদিন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দেখা যায় গ্রাহক উপস্থিতি কম। অধিকাংশ কাউন্টার ফাঁকা রয়েছে। একই অবস্থা দেখা দেখা গেছে অগ্রণী ব্যাংকের কোর্ট শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখাসহ বেশ কিছু শাখা।

Advertisement

সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু টাকা উত্তোলন করতে এসেছি। ভাবছিলাম অনেক ভিড় থাকবে সকালে, এসে দেখি কাউন্টার ফাঁকা। ভালো লাগছে, সহজে ভোগান্তি ছাড়াই লেনদেন করতে পেরেছি। একই কথা জানান ব্যাংকটিতে আসা অন্যান্য গ্রাহকও।

ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সাইফ আহমেদ বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক গ্রাহক আগের মতোই হয়তো বাসায় অবস্থান করছেন। আমাদের মতো জরুরি অর্থের প্রয়োজন এমন গ্রাহকই এসেছেন ব্যাংকে। এ কারণে অনেক গ্রাহকই বাড়তি প্যারা নিতে চাচ্ছেন না, এমনিতেই সড়কে যানজট থাকে।

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুম এ বিষয়ে বলেন, শুক্র ও শনিবার সাধারণত ছুটি থাকে। এ কারণে গ্রাহকরা সেভাবেই অভ্যস্ত। অনেকে হয়ত জানেন না আজ ব্যাংক খোলা, আবার জরুরি না হলেও ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না অনেকে। এসব কারণে হয়ত গ্রাহক কম। তাছাড়া অনেকেই আবার রাস্তাঘাটের অবস্থা বিশেষ করে যানজটের বিষয়ে নজর রাখছেন। অবস্থা বুঝে হয়ত দুপুর পর ব্যাংকে আসবেন। এতে দুপুর পর গ্রাহকের উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের পর গত ৭ মে ঈদে নির্বাহী আদেশে দু-দিন (১১ ও ১২ জুন) ছুটি ঘোষণা এবং ছুটির দিনে (১৭ ও ২৪ মে) অফিস খোলা রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ ও ২৪ মে) সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।

Advertisement

এদিকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এবার ঈদুল আজহার ছুটি ৫ থেকে ১০ জুন মোট ছয় দিন নির্ধারণ করা ছিল। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১১ ও ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম