মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের আরও বেশি করে বিপজ্জনক নৌযাত্রায় ঝুঁকি নিতে বাধ্য করছে। এতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
এই মাসেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে আনুমানিক ৪২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, মানবিক সহায়তার তহবিল কমে যাওয়ায় এই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দুর্দশা আরও গভীর হয়েছে।
মানবিকখাতে সহায়তা কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ও পশ্চিমারা। কারণ তারা বর্তমানে প্রতিরক্ষাখাতে বাজেট বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন>
Advertisement
ইউএনএইচসিআর জানায়, গত ৯ ও ১০ মে দুইটি নৌকা ডুবে যায়। এতে প্রায় ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এ ঘটনায় মাত্র ৮৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। যদি ৪২৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হয়, তবে এটি এই বছরের রোহিঙ্গাদের জন্য সমুদ্রপথে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, এ সব রোহিঙ্গারা বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই সমুদ্রপথে যাত্রা বেছে নেয়। যা এটি তাদের চরম হতাশা ও নিরুপায়তার ইঙ্গিত।
ইউএনএইচসিআর-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক হাই কিউং জুন বলেন, মানবিক পরিস্থিতির অবনতি এবং তহবিল কাটছাঁট রোহিঙ্গাদের জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। তারা এখন নিজেদের ও পরিবারের জন্য নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সন্ধানে বিপজ্জনক পথ বেছে নিচ্ছে।
সংস্থাটি বাংলাদেশসহ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়দানকারী দেশগুলো ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জীবনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৫ সালের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর চাওয়া ৩৮৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ তহবিল জোগাড় হয়েছে।
Advertisement
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউএনএইচসিআর-কে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে, যা সংস্থাটির মোট অনুদানের ৪০ শতাংশ।
মার্চ মাসে সংস্থাটি ব্যয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিকল্পিত কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম