কুমিল্লায় একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজী সোহেল (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, নিরাময় কেন্দ্রের দায়িত্বরতরা তাকে হত্যা করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানের দাবি, সোহেল ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
Advertisement
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়ায় নিউ যত্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল বিকেলে মারা গেলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার পর। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীদের হাতাহাতি হয়। এসময় নিরাময় কেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়। রাত ৯টার দিকে নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক সাগর আবদুল্লাহসহ কর্মীরা পালিয়ে যান। এসময় সেখানে থাকা প্রায় ৮০ জন রোগীও পালিয়ে গেছেন।
Advertisement
সোহেলের আত্মীয় মো. হাবিব মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জানানো হয় সোহেল ফাঁসি দিয়েছে। কিন্তু নিরাময় কেন্দ্রে আসার পর তারা আমাদের ঢুকতে দিচ্ছিল না। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমাদের পরিবারের নারী সদস্যদের গায়েও তারা হাত তুলেছে। নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নেওয়া একাধিক জন বলেছে সোহেলকে নির্যাতন করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক সাগর আবদুল্লাহ বলেন, দুপুরের পর সবাই যখন ঘুমিয়েছিল তখন চারতলার একটি কক্ষে ফাঁস দিয়ে সোহেল আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে সেটি সঠিক নয়। বরং রোগীর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এএসএম
Advertisement